'ঐশ্বর্য আমার স্বামীকে কেড়ে নিয়েছে' এই বলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন জাহ্নবী

'ঐশ্বর্য আমার স্বামীকে কেড়ে নিয়েছে' এই বলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন জাহ্নবী

সা০৭ সালের ২০ এপ্রিল। বৈশাখের সেই উচ্চ তাপমাত্রার দিনে চার হাত এক হয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের। সেদিনটা ছিল মুম্বই শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন। বচ্চন রাজপুত্রের বিয়ে বলে কথা। তাও আবার কার সঙ্গে, বিশ্বসুন্দীর সঙ্গে। অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের একমাত্র পুত্রের বিয়েতে আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।

আপাদমস্তক হীরের গয়নায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। গোটা দেশের নজর ছিল এই হেভিওয়েট বিয়ের দিকে। বড়সড় কিছু হলে তার মধ্যে ঝামেলা হবে না, এমনটা তো হয় না সবসময়। তাই সকলকে চমকে দিয়ে, সারাদেশের তামাম মিডিয়ার সামনেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এক তরুণী। যে ঘটনাকে পরবর্তীতে ‘অতিনাটকীয়’ আখ্যা দিয়েছিলেন কেউ-কেউ।

মহিলার নাম জাহ্নবী কাপুর। না, না, শ্রীদেবী ও বনি কাপুরের কন্যা জাহ্নবী নন। তিনি তো নেহাতই শিশু তখন। এই জাহ্নবী ধুমকেতুর মতো আবির্ভুত হয়েছিলেন সেদিনের জন্যই। পরে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি সেভাবে। এবং তিনি যথেষ্ট লাইমলাইট কেড়েছিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্যের বিবাহস্থানে। এই জাহ্নবী অভিষেকের জনপ্রিয় আইটেম নম্বর ‘দস বাহান’-এর নেপথ্য নৃত্যশিল্প। টুকটাক মডেলিংও করতেন সে সময়। তিনি এক অত্যাশ্চর্য দাবি জানিয়েছিলেন সে দিন।

বচ্চনদের ‘প্রতিক্ষা’ নামের বাংলোতে তখন বিয়ে চলছে অভিষেক-ঐশ্বর্যর। আর বাইরে চলছে এক অন্য নাটক। এই জাহ্নবী নামের মহিলা হন্তদন্ত হয়ে ধয়ে আসেন প্রতিক্ষার বাইরে। চেঁচামিচি শুরু করে দেন। নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন সকলের সামনেই। তাঁর দাবি ছিল মনে রাখার মতো। ঐশ্বর্য নাকি তাঁর স্বামী অভিষেককে কেড়ে নিয়েছেন। জাহ্নবী নামের এই মডেল-জুনিয়র আর্টিস্টের সঙ্গে নাকি দু’বছর প্রেম করেছিলেন অভিষেক। তাঁদের নাকি নিয়মিত দেখাও হত জুহুতে। ২০০৬ সালে নাকি তাঁরা বিয়ে করেন ইন্ডাস্ট্রিরই কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতে। অভিষেক নাকি তাঁর সিঁথিতে সিঁদুরও পরিয়ে দিয়েছিলেন।

কারা বিয়ে দিয়েছিলেন, বিয়ের ছবি… কিছুই দেখাতে পারেননি জাহ্নবী। কেবল বলেছিলেন, সত্যি ভালবাসায় প্রমাণ লাগে না। এরপর তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে আত্মহত্যার চেষ্টা করার জন্য।