ক্যাচ মিস করে রাতারাতি 'খলিস্তানি' জঙ্গি আর্শদীপ! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হরভজনরা

ক্যাচ মিস করে রাতারাতি 'খলিস্তানি' জঙ্গি আর্শদীপ! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হরভজনরা

ভারত-পাক ম্যাচ শেষ। ভারত রুদ্ধশ্বাস লড়াই সত্ত্বেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২-০ করতে পারল না। তবে ম্যাচ শেষের পরেই হঠাত্‍ টুইটারে ট্রেন্ডিং 'খলিস্তানি' শব্দবন্ধনী। ঘটনার নেপথ্যে আর্শদীপ সিং এবং তাঁর ক্যাচ মিস।

শেষ ১৫ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। রবি বিশ্নোইকে স্লগ সুইপ হাঁকাতে গিয়েছিলেন আসিফ আলি।

তবে সহজ ক্যাচ হারারিরি করে ফেলে দেন তরুণ আর্শদীপ সিং। ১৮ তম ওভারে সেই ঘটনাই যে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তা প্রমাণিত হয় যায় পরের ওভারেই। ভুবনেশ্বর কুমারের ১৯ তম ওভারে আসিফ চার-ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে ১৯ রান তুলে ম্যাচের ফয়সালা করে যান।

যদিও বাঘের মতই ফেরত আসেন তরুণ ভারতীয় পেসার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৭ রান। ম্যাচে উত্তেজনার আমদানি করে আসিফ আলিকেই লেগ বিফোর করে ফেরত পাঠান আর্শদীপ। শেষ দু-বলে জয়ের সমীকরণ নেমে আসে ২ রানের। এক বল বাকি থাকতে জয় সম্পন্ন করেন পাক ব্যাটাররা।

এমন রোমহর্ষক হারের পরেই নিশানা বনে যান আর্শদীপ। যথেচ্ছ ট্রোল, মিমের বন্যার মধ্যেই নেটিজেনরা কেউ কেউ আর্শদীপকে খলিস্তানি বলতেও পিছপা হননি। ভারত-বিরোধী শিখ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আর্শদীপকে জড়িয়ে দেওয়ায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।

হরভজন সিং ট্রোলারদের একহাত নিয়ে বলে যান, 'তরুণ আর্শদীপ সিংয়ের সমালোচনা বন্ধ হোক। কেউই ইচ্ছা করে ক্যাচ মিস করে না। ছেলেদের জন্য আমরা গর্বিত। পাকিস্তান এদিন অনেক ভালো খেলেছে। যাঁরা এভাবে আমাদের ছেলেদের এরকম সস্তা কমেন্ট করে দলকে নামিয়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য লজ্জা হচ্ছে। আর্শ সোনার ছেলে।'

অভিনব মুকুন্দও আর্শদীপের সমর্থনে মুখ খুলেছেন। তাঁর টুইটের বয়ান, 'পুণে টেস্টে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ মিস করার পরে আমি নিজের রুমে এমন অবস্থায় ছিলাম যেখানে কোনও স্বান্তনাও কাজ করেনি। আর্শদীপ সিংয়ের এরকম অনুভূতি হবে না আশা করি। সকলের থেকে ও নিজেই সবথেকে ক্ষুব্ধ থাকবে আজ রাতে। এসো ওঁর পাশে দাঁড়াই।'

তরুণ আর্শদীপের সমর্থনে মুখ খুলেছেন বিরাট কোহলিও। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, 'চাপের মুখে যে কেউ ভুল করতে পারে। এরকম বড় ম্যাচে পরিস্থিতি বেশ শক্ত ছিল। মনে আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্ৰথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে শাহিদ আফ্রিদির বলে বাজে এক শটে আউট হয়ে যাই। সেই রাতে ঘুমোতে পারিনি। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সিলিংয়ের দিকে চেয়ে বসেছিলাম।