জানেন শরীরের ওজন এবং জলের প্রয়োজনের মধ্যে সংযোগ কী?

জানেন শরীরের ওজন এবং জলের প্রয়োজনের মধ্যে সংযোগ কী?

জেনে অবাক হতে পারেন, কিন্তু গত কয়েক বছরে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে যে সঠিক সময়ে সঠিক উপায়ে জল পান করলে আপনার ওজন কমানো যায় এবং নিয়ন্ত্রণেও রাখা যায়। আবার ভুল সময়ে জল পান করলে ওজন বাড়ার সমস্যাও হতে পারে। তাহলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক স্থূলতার সাথে জলের সম্পর্ক।

খাবারের আগে নিয়মিত দুই কাপ জল পান করলে বছরে ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো যায়। এখানে দুই কাপ অর্থাত্‍ প্রায় আধা লিটার জলের কথা বলা হচ্ছে। কারণ একটি বড় কফি মগে প্রায় ২৫০ মিলি দুধ বা জল ধরে। তবে এর মানে এটা নয় যে, খুব ক্ষুধার্ত হলেই জল পান করা শুরু করে দেবেন বরং খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এই জল পান করা উচিত্‍।

আপনি যদি আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন জল পান করেন, তাহলে আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। কারণ সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া ক্ষিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আপনি যদি খাওয়ার সময় বা খাবার খাওয়ার পরপরই এক গ্লাস জল পান করেন বা দুই চুমুকের বেশি জল পান করেন, তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি এবং পেট ফাঁপা সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হবে।

সাধারণত পরামর্শ দেওয়া হয় যে, আপনাকে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত্‍। এই পরামর্শ ইন-জেনারেল দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি জানতে চান দিনে কতটা জল পান করা উচিত্‍, তাহলে এই সূত্রটি অনুসরণ করুন-

আপনার শরীরের ওজন পরিমাপ করুন।

আপনার ওজন ৩০ দিয়ে ভাগ করুন। যে উত্তর আসে তা হল আপনার দিনে কত লিটার জল প্রয়োজন।

যেমন- আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয় এবং আপনি ৩০ দিয়ে ভাগ করেন তবে আপনি ২ পাবেন। অর্থাত্‍ দিনে দুই লিটার জল আপনার পান করা উচিত্‍।

এছাড়াও যা করবেন-

প্রথমত, আপনার দিনটি জল দিয়ে শুরু করুন।

রাতে তামার পাত্রে জল রাখুন এবং সকালে খালি পেটে অর্থাত্‍ ঘুম থেকে ওঠার পরপরই প্রস্রাবমুক্ত হয়ে অন্তত দুই কাপ (বড় কফির মগ) জল পান করুন।

এর পরে, প্রতিবার খাবার খাওয়ার আগে দুই মগ জল পান করুন।

এখানে মোট দেড় লিটার জল থাকে এবং অবশিষ্ট আধা বা এক লিটার জল আপনি দিনে এক বা দুই গ্লাস করে সহজেই পান করতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে জল পান করা শুরু করলে প্রথম দিকে অতিরিক্ত প্রস্রাব বা ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কিছু সময় পর শরীর এই জলে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং প্রস্রাবের সমস্যাও দূর হবে।