আক্রম ওয়ার্নরা থাকলে মেরে কেটে তিরিশটা সেঞ্চুরি হত কোহলির অকপট পন্টিং

আক্রম ওয়ার্নরা থাকলে মেরে কেটে তিরিশটা সেঞ্চুরি হত কোহলির অকপট পন্টিং

 বিরাট কোহলির সঙ্গে তিনি নিজে খেলেননি। কিন্তু খেলেছেন সচিন তেন্ডুলকরের বিপক্ষে। মাস্টার ব্লাস্টার যখন নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন, তাকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন রিকি। কিন্তু পরবর্তীকালে বিরাট কোহলিও সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেন মনে করেছিলেন তিনি। প্রায় তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি।

এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার সময় কোহলি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। সামগ্রিকভাবে এটি ছিল ৭১তম সেঞ্চুরি। কোহলির এই সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সময়ে তাঁর ব্যাট হাতে আর কতগুলি সেঞ্চুরি দেখা যাবে সেটাই দেখতে হবে।

রিকি পন্টিং আরও বলেন, এখনও আমার মনে হয় তাঁর হাতে কয়েক বছর আছে। যদিও ৩০ সেঞ্চুরিও অনেক। হয়তো আগামী তিন বা চার বছরের জন্য বছরে পাঁচ বা ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরি। এছাড়া ওয়ানডেতে যদি ২-৩টি সেঞ্চুরি আর কিছু টি-টোয়েন্টিতে আসে তাহলে তা সম্ভব। আমি কখনই অসম্ভব বলব না কারণ একবার সে তার ভূমিকায় চলে গেলে এটি দেখায় যে সে রানের জন্য কতটা ক্ষুধার্ত এবং সেজন্য আমি কখনই বলব না যে এটা হবে না।

কিন্তু মাঝের তিনটে বছর সেঞ্চুরি না পাওয়া সচিনের ১০০ সেঞ্চুরি স্পর্শ করার ক্ষেত্রে বিরাটকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে মানছেন পন্টিং। টেকনিক্যালি বিরাটের থেকে এগিয়েছিলেন সচিন। কিন্তু ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রান তাড়া করে এগিয়ে কোহলি। দুজনেই চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান।

তবে কোহলির থেকে বেশি ভয়ংকর বোলারদের খেলতে হয়েছে সচিনকে, মনে করেন পন্টিং। ওই সময়টা গ্লেন ম্যাকগ্রা, আখতার, ওয়াসিম, মুরলী, শেন ওয়ার্ন, ওয়ালসদের মত বোলার ছিল ক্রিকেটে। এই মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বে সেই মাপের বোলার হাতে গোনা।

তাই কোয়ালিটির দিক থেকে অনেক বেশি কঠিন বোলারদের খেলতে হয়েছে সচিনকে। অবশ্য এটা বিরাটের দোষ নয়। এই মুহূর্তে মিচেল স্টার্ক, শাহিন আফ্রিদি, হাসারাঙ্গা, আর্চের যথেষ্ট কঠিন বোলার মনে করেন পন্টিং।