লক্ষ্মীর ভাণ্ডার : মাসে পাবেন ৭৫০ টাকা ?

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পান। তবে সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য সরকার এই ধরণের জনমুখী প্রকল্পগুলির বাজেটের বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মত, এই লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে রাজ্যে। কারণ রাজ্য সরকারের কাছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নেই যে, যা দিয়ে রাজ্যের এই কয়েক কোটি মহিলাদের লক্ষী ভান্ডারে টাকা দেবে। এমনকি বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে, কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পে খরচ না করে রাজ্য সরকার সেই টাকা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ করছে।
আর যার ফলেই আগামী দিনে কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করতে পারে। যেমনটা কিন্তু সরকার করেছিল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে। যেই সকল প্রকল্পে রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকারের দেওয়া নামে সেই প্রকল্প চালাচ্ছিল, সেই সকল প্রকল্প কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে। আর তার প্রধান উদাহরণ 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা', যার নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল বাংলায় ।
ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এই লক্ষী ভান্ডারের টাকা যদি আগামী দিনে বাড়ানো হয় তাহলে সেই টাকার বোঝ পড়বে রাজ্য সরকারের উপর। আর সেই টাকা রাজ্য সরকার ঋণের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংক থেকে বা অন্যা কোথাও থেকে ঋণ নেবে। আর পরবর্তীকালে সেই ঋণের বোঝা রাজ্যে সাধারন মানুষের উপরেই চাপবে।