কিংবদন্তী শচীন দেববর্মণের বাড়ি হবে সাংস্কৃতিক পীঠস্থান, বিরাট উদ্যোগ বাংলাদেশের

কিংবদন্তী শচীন দেববর্মণের বাড়ি হবে সাংস্কৃতিক পীঠস্থান, বিরাট উদ্যোগ বাংলাদেশের

বাংলাদেশের বাড়িতে অনেক স্মৃতি তাঁর, কাজ চলছে জোর কদমে।

ওপার বাংলার সঙ্গে এপার বাংলার সম্পর্ক অনেকদিনের। সেইদেশ থেকে এদেশে এসেছেন নানান মানুষ। দুই দেশের গান কিংবা সিনেমা-নাটক, বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ সমৃদ্ধ করেছে ভারতকে। শচীন দেব বর্মণ তাঁর মধ্যে অন্যতম।

কিংবদন্তী শিল্পীর বাংলাদেশের বসতবাড়িকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কেন্দ্র হিসেবে সংরক্ষন করা হচ্ছে।

বর্ষীয়ান শিল্পী নিজের জীবনের ১৮ বছর কাটিয়েছেন বাংলাদেশে। সেই বাড়িতে রয়েছে অজস্র স্মৃতি। কুমিল্লা জেলার এই বাড়িকে সংস্কৃতিকেন্দ্রর রূপ দেওয়া হবে। ইতিহাসবিদ গোলাম ফারুক তাঁর স্মৃতিচারণায় বলেন, শচীন বাবুর সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল তাঁর বাবাকে ঘিরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে পাশ করেন শচীন বাবু।

এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগরতলা কলেজের কনভকেশনে জানান, শচীন দেব বর্মণের বাড়িটি সংরক্ষন করা হবে। এবং এতিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে তথা জাদুঘরে রুপান্তরিত করা হবে। সর্বমোট সাতটি প্রোজেক্টকে এই আওতায় আনা হয়েছে।

বছরের পর বছর এই বাড়ি এবং জমির এক অংশ দখল অবস্থায় ছিল। কুমিল্লার সাংসদ একেএম বাহাউদ্দিন বাহার জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অনেকটা জমি খালি করা গিয়েছে। মোট ১.১০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে এটিকে সংস্কার করার জন্য। মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ, শুধু প্রত্নতত্ব বিভাগে হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে এই বাড়িটি।

এর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। দেখভাল করার জন্য লোক মোতায়েন রয়েছে। তবে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিত্যাক্ত বাড়িটি পাকিস্তানের শাসন আমলে গুদামঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত।