ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে লোকাল! শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের বিরাট সুখবর দিল রেল

ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে লোকাল! শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের বিরাট সুখবর দিল রেল

রেলের নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর! গতিবেগ বাড়তে চলেছে শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনের। শিয়ালদহ শাখায় সব লোকালের গতিবেগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে লোকালের সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার।

এবার তা বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিমি করা হচ্ছে। তিন বছর আগেই এই গতিবেগ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল পূর্ব রেল। বহু স্থানেই কাজ শেষ হয়েছে। কিছু জায়গায় নিরাপত্তা জনিত কারণে দ্রুত ট্রেন চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে গতি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারবেন।

ট্রেনের গতিবেগ আরও বাড়লে শিয়ালদহ ডিভিশনের লক্ষ লক্ষ যাত্রীরাই লাভবান হবেন বলে মনে করছে পূর্ব রেল। শিয়ালদহ উত্তর, মেইন থেকে শুরু করে দক্ষিণ শাখা অর্থাত্‍ নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ক্যানিং প্রভৃতি শাখায় ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ উত্তর ও মেইন শাখার মধ্যে রয়েছে রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, ব্যারাকপুর, নৈহাটি বনগাঁ, বসিরহাট, গেদে প্রভৃতি লোকাল। এই সমস্ত লোকাল ট্রেন এবার থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারবে। আগে এই সমস্ত লোকালগুলির ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৮০- ৯০ কিলোমিটার।

বাইক, গাড়ি নিয়ে বেরোলে খুব সাবধান! কলকাতায় কোন ট্রাফিক আইন ভাঙলে কত ফাইন, জেনে নিন

আগে শিয়ালদহ থেকে নৈহাটি পর্যন্ত ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। নৈহাটি থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৯৫ কিলোমিটার। বনগাঁ লোকালের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। অর্থাত্‍ এই ট্রেনগুলির গতি প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার করে বাড়বে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যে এই গতিতে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য রাতের দিকে বেশ কিছু ট্রায়াল রান হয়েছে। বেশ কিছু সমস্যা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি সমাধান হয়ে গেলে শিয়ালদহের সব লাইনে দ্রুত ১০০ কিমি গতিতে ছুটবে লোকাল। যদিও এর জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হবে। প্রথমে যে সমস্ত ত্রুটি রয়েছে তা মেরামত করতে হবে। তারপর রেলওয়ে সেফটি কমিশনের ছাড়পত্র মিললে তবেই ১০০ কিলোমিটার গতিতে লোকাল ট্রেন চালানো যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেফটি কমিশনের ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হবে না বলে শিয়ালদহ ডিভিশনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। তবে ডিভিশনের লাইনের দু'পাশে প্রচুর জনপদ আছে। এখানে সব লাইন ঘেরা নেই। ফলে এই ঝুঁকি পেরিয়ে দ্রুত ট্রেন চালানো কতটা সম্ভব হবে, সেটাই দেখার।