৫জি ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন? নতুন সিম- রিচার্জের জন্যও কি খরচ করতে হবে?

৫জি ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন? নতুন সিম- রিচার্জের জন্যও কি খরচ করতে হবে?

 পুজোর মুখেই বড় সুখবর শুনিয়েছে টেলিকম মন্ত্রক। সেপ্টেম্বরের শেষভাগ বা অক্টোবরের শুরুতেই ভারতে চালু হচ্ছে ৫জি ইন্টারনেট পরিষেবা। কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে ৫জি স্প্রেকট্রামের নিলাম। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। জানা গিয়েছে, আপাতত মেট্রো শহরগুলিতেই ৫জি পরিষেবার ট্রায়াল রান শুরু হবে।

এই তালিকায় দিল্লি, মুম্বইয়ের পাশাপাশি কলকাতারও নাম রয়েছে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই অনেকেই মুখিয়ে রয়েছেন ৫জি পরিষেবা ব্যবহারের জন্য। কিন্তু যে প্রশ্নটা সবথেকে বেশি উঠছে, তা হল ৫জি পরিষেবার খরচ কত হতে চলেছে?

জানা গিয়েছে, শুরুর ধাপেই রিলায়েন্স জিয়ো এবং ভারতী এয়ারটেলই ৫জি পরিষেবা আনতে চলেছে। স্প্রেকট্রামের নিলামের সময়ই জিয়ো সবথেকে বেশি স্প্রেকট্রাম কিনেছে। দুই টেলিকম সংস্থার তরফেই জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যেই দেশে ৫জি পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত তারা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পুরোদমে এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।

বদলাবে না ট্যারিফ প্ল্যান-

সূত্রের খবর, দিপাবলীর সময়েই ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে, তবে পরিষেবা শুরুর প্রাথমিক পর্যায়েই ট্যারিফ বা রিচার্জের খরচ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। এর কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশে ৫জি পরিষেবা সাপোর্ট করে, এমন মোবাইল হ্যান্ডসেটের সংখ্যা অনেক কম। প্রযুুক্তিগত সীমাবদ্ধতা থাকার কারণেই বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ৫জি ফোন উত্‍পাদিত হচ্ছে না। যদি ৫জি ফোনই না থাকে, তবে পরিষেবা কারা গ্রহণ করবেন? এই কারণেই আপাতত মোবাইল ট্যারিফে কোনও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই।

জানা গিয়েছে, ৫জি পরিষেবার জন্য নতুন করে ট্যারিফ প্ল্যান লঞ্চ না করে, ৪জি পরিষেবার ট্যারিফ প্ল্যানগুলিতেই কিছুটা পরিবর্তন এনে ৫জি পরিষেবা চালু করতে পারে রিলায়েন্স জিয়ো ও ভারতী এয়ারটেল।

লাগবে না নতুন সিমও-

যারা ৫জি পরিষেবা ব্যবহার করতে চাইবেন, তাদের নতুন সিমকার্ডও নিতে হবে না। টেলিকম অপারেটরদের ফোন করেই ৪জি থেকে ৫জিতে আপগ্রেড করাতে পারবেন সিম। এরজন্য এসএমএসের চার্জ ছাড়া অতিরিক্ত কোনও খরচই বহন করতে হবে না। পরে ধীরে ধীরে ৫জি হ্যান্ডসেটের সংখ্যা বাড়লে এবং গ্রাহকেরও সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, ট্যারিফের পরিবর্তন আনা হবে।