CAA নিয়ে ফের বিস্ফোরক মমতা

CAA নিয়ে ফের বিস্ফোরক মমতা

গত সোমবারই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে CAA৷ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশজুড়ে CAA চালু করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ আর এই ঘোষণার প্রায় সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার থেকেই উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিনের সভা ছিল শিলিগুড়িতে৷ শিলিগুড়ির সভা থেকেও এদিন CAA-এর বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করতে শোনা যায় মমতাকে৷

এদিন আরও একবার স্পষ্ট গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ CAA, NRC আমরা মানব না। আমি আধার কার্ড বাতিল নিয়ে যেই চেপে ধরতে শুরু করলাম ওরা বন্ধ করে দিল। আমি আমার বাবা-মায়ের জন্মদিন জানি না৷ তো বার্থ সার্টিফিকেট কী করে নিয়ে আসব? মানুষ কে হ্যারাস করা আমাদের লক্ষ্য নয়। তাই আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে।’’

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আরও একবার তুলোধনা করে মমতা বলেন, ‘‘সারা বিশ্বজুড়ে আপনারা দেখেছেন কী নিয়ম আছে। কী ভাবে তারা সিটিজেন কার্ড দেয়। বিল পাস হয়েছে ৪ বছর আগে। আমি রুল দেখে সন্তুষ্ট নয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছে এটাতে কোনও লাভ নেই। এটা একটা ছাপ্পা, ভাপ্পা। কিন্তু, আমরা মানুষের অধিকার নিতে দেব না৷ কাল কে বলেছে কিছু, কারা হবে না, সেটা আইনে নেই কেন? এটা পলিটিক্যাল গিমিক শুধু। নির্বাচনের আগে কয়েকটা আসন পাবে তাই করছে৷ এটা মানুষকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। তাই যেটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে সেটা আমরা প্রতিবাদ করছি। আমি শুধু এটা বলব caa এর সঙ্গে nrc-এর সম্পর্ক আছে।’’

এদিন, নিজের ছোট ভাই স্বপন ওরফে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও সরব হন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পাওয়া নিয়ে এবার কোন্দল শুরু হয়েছিল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘর’ থেকেই৷ হাওড়ায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বাবুন৷ রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘যে মানুষটা হাওড়ায় প্রার্থী হয়েছেন, সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের এজিএমের সময় আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছিলেন৷ আমাকে অপমান করেছিলেন৷ হাওড়ার মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছেন কি না জানি না৷ এই প্রার্থী ঠিক হয়নি৷’’