বহু প্রতিক্ষার পর খুলছে মঙ্গলাহাট, তবে বসবে শুধুমাত্র শনিবারই

বহু প্রতিক্ষার পর খুলছে মঙ্গলাহাট, তবে বসবে শুধুমাত্র শনিবারই

সময় বাংলা# হাওড়া বললেই এককথায় চোখের সামনে ভেসে ওঠে মঙ্গলাহাট। তবে করোনা মহামারীর প্রকোপের কারণে লকডাউন এর শুরুতেই প্রথমেই কোপ পরে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের উপর। তবে এবার খুলতে চলেছে মঙ্গলা হাট দুর্গা পুজোর আগে ব্যবসা শুরুর স্বার্থে। যদিও মঙ্গলবার কিন্তু বসবে না এই হাট, বসবে শনিবার রাতে। হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর মিলেছে আগামী শনিবারই খুলতে চলেছে মঙ্গলা হাট।

প্রসঙ্গত, হাওড়া জেলা প্রশাসন কোভিড পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে সপ্তাহের কাজের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাস্তায় হাট বসার অনুমতি দিতে রাজি নয়। এই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ প্রশাসনিক বৈঠক হয় হাওড়ায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্যা, পুলিশ কমিশনার কুনাল আগারওয়াল, মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক ভবানী দাস ও পুরো নিগমের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে হাওড়ার মঙ্গলাহাট সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে ফের শুরু হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের শুধুমাত্র শনিবার রাতেই হাটে বসার অনুমতি দেওয়া হবে। শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে হাট‌ তবে শুধুমাত্র স্থায়ী দোকানদার যাঁরা তাদেরই হাটে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে এই মুহূর্তে। রাস্তায়, ফুটপাতে যাঁরা দোকান দেন তাদের অনুমতি আপাতত দেওয়া হচ্ছে না।

যদিও উক্ত সিদ্ধান্তে হাটের ব্যবসায়ীদের কতটা সুবিধা হবে ব্যবসার ক্ষেত্রে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। হাওড়া গণতান্ত্রিক নাগরিক সমিতির শাখা সংগঠন হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুভাষ দত্ত বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারছি না।' রাতে হাট বসলে যাতায়াত ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই অসুবিধা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুভাষ।

মার্চ মাসে লকডাউন হওয়ার পর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলাহাট। ফলে গত ছ'মাস একটানা ব্যবসা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের রুটিরুজিতে পড়েছে টান। সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই মঙ্গলাহাট খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারা। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা শুরুর অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয় বলেও জানা যাচ্ছে। তবে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সুরক্ষা বিধি মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক পরা।