ড্রোনের মাধ্যমে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাবে ওষুধ, উদ্যোগ ফ্লিপকার্টের

ড্রোনের মাধ্যমে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাবে ওষুধ, উদ্যোগ ফ্লিপকার্টের

জীবনদায়ী ওষুধ, দুর্মূল্য ওষুধ যা জেলার প্রত্যন্ত এলাকার দোকানগুলিতে মেলে না। কলকাতা বা জেলার সদর শহর থেকে আনাতে হয় সেই ওষুধ। যা কখনও সখনও সময় এবং ব্য়য় সাপেক্ষ হয়ে ওঠে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। সেই অসুবিধা দূর করতেই এ বার অভিনব উদ্যোগ নিল ফ্লিপকার্ট।

জীবনদায়ী ওষুধ ফ্লিপকার্টে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ড্রোনের মাধ্য়মে সেই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে প্রত্যন্ত এলাকায়। ফ্লিপকার্ট হেলথ এবং স্কাই এয়ার মবিলিটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে এ রকমই একটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। ফ্লিপকার্ট হেলথে অনলাইন বুকিং করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ড্রোনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে ওষুধ। মঙ্গলবার ফ্লিপকার্টের বারুইপুরের ওয়্যার হাউস থেকে এই প্রজেক্টের মহড়া শুরু করা হয়েছে। অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজে।

সাধারণত ড্রোনের গতিবিধি চোখের সামনেই দেখা যায়। কিন্তু এই বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন যা একেবারে দৃষ্টির অগোচরে দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে অল্প সময়ে পৌঁছে দিয়ে আসবে জীবনদায়ী ওষুধ। ফ্লিপ কার্ড হেল্থ ও স্কাই এয়ার মবিলিটি সংস্থা আপাতত দৈনিক ২০টি ড্রোন এই কাজে ব্যবহার করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম। এই মহড়া সফল হলেই এরপর থেকে সাধারণ মানুষ ফ্লিপকার্টে ওষুধ কেনার জন্য অনলাইনে বুক করলেই তারা সেই জীবনদায়ী ওষুধ পেয়ে যাবেন অল্প সময়ের মধ্যেই। যা কলকাতা বা অন্য জায়গা থেকে সড়ক পথে নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই কারণেই মঙ্গলবার বারুইপুরে ফ্লিপকার্টের বারুইপুরের ওয়ারহাউজ থেকে পাইলট প্রজেক্ট অনুযায়ী সড়কপথে ১৮৪ কিলোমিটার দূরে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাতঙ্গিনী ব্লক যার আকাশপথের দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার সেখানে এক ঘন্টার মধ্যেই ড্রোন মারফত জীবনদায়ী ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয় একেবারে নির্বিঘ্নেই। সাড়ে তিন কেজি ওজনের একটি বাক্সের মধ্যে এক কেজি ঔষধ দিয়ে ১০৪ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাতঙ্গিনী ব্লক এলাকায় ফ্লিপকার্ট এর একটি শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ওই জীবনদায়ী ঔষধ। সড়কপথে সেখানে পাড়ি দিতে লেগে যাওয়ার কথা বেশ বেশ কয়েক ঘন্টা।

ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি তেলেঙ্গানায় ব্যবহার করা হয়েছে। এখন তা পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর থেকেই তার মহড়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই সুবিধা রাজ্যের মানুষ পাবেন। ৫ কেজি থেকে ২৫ কেজি এবং পরবর্তী পর্যায়ে ৫০ কেজি ওজনের ওষুধ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আকাশ পথে নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ড্রোন কোম্পানির কর্ণধার শ্রীকান্ত সারদা বলেছেন, "এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মিশন। ড্রোনের সাহায্যে বারুইপুর থেকে দূরের এলাকায় ওষুধ পাঠানো হবে। এতে জীবন বাঁচানোর কাজ অনেক সহজ হবে।"