সাক্ষাত্‍ কুম্ভকর্ণ! টুইন টাওয়ার ভাঙার আগের মুহূর্তেও নিশ্চিন্তে ঘুম পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর

সাক্ষাত্‍ কুম্ভকর্ণ! টুইন টাওয়ার ভাঙার আগের মুহূর্তেও নিশ্চিন্তে ঘুম পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর

পরিকল্পনা মতোই আজ দুপুরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে (Demolished) নয়ডার (Noida) বিতর্কিত টুইন টাওয়ার (Twin Tower)। সুবিশাল এই ধ্বংসযজ্ঞের জন্য এক মাস আগে থেকেই যমজ অট্টালিকা দুটির আশেপাশের বাড়ি এবং বহুতলগুলি খালি করার পদ্ধতি শুরু করা হয়েছিল।

কিন্তু আজ সকালেও দেখা গেল, টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার কিছুক্ষণ আগে অবধিও পাশের একটি আবাসনে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন (Sleping) এক ব্যক্তি।

টাওয়ারগুলির আশেপাশের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দাকে নিজেদের বাড়ি খালি করে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের। আজ সকাল ৭টা নাগাদ তাঁদেরই একজন আবিষ্কার করেন, একটি আবাসনের সবচেয়ে উঁচু তলায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি।

স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একজন সদস্য নরেন্দ্র কেশওয়ানি জানিয়েছেন, কোনও ভাবে ওই ব্যক্তি বাড়ি খালি করে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ভুলে গিয়েছিলেন। তাই নিশ্চিন্তে নিদ্রা গিয়েছিলেন তিনি। বাড়িগুলি সত্যিই খালি হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজ দ্বিতীয়বার তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। তখনই একজন নিরাপত্তারক্ষীর চোখে পড়ে ব্যাপারটা। তিনিই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক সদ্যস্যকে খবর দেন। তারপর অবশ্য তাঁকে ঘুম থেকে তুলে বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়।

তারপর তো দুপুর ২.৩০ মিনিটে ধুলিস্যাত্‍ হয়ে যায় যুগ্ম অট্টালিকা। ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ভেঙে ফেলা হয় বিতর্কিত টাওয়ার দুটি। রবিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকেই আবার নিজেদের আবাসনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বাসিন্দাদের।