দেশ ছাড়ার হিড়িক পুরুষদের বন্ধ হল বিমানের টিকিট বিক্রি

দেশ ছাড়ার হিড়িক পুরুষদের বন্ধ হল বিমানের টিকিট বিক্রি

 রাশিয়ায় সেনার গতিবিধি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই মর্মে তিনি একটি নির্দেশে সাক্ষর করেছেন বলেও এক টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেছেন পুতিন। পুতিনের এই পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। এদিকে পুতিনের এই সামরিক বাহিনীর আংশিক গতিবিধি বাড়ানোর বিষয়ে বক্তৃতার পরই রাশিয়া ছাড়তে শুরু করেছেন দেশের একাধিক নাগরিক।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের এই বাণীর পরই রাশিয়ার বাইরের শহরে যাওয়ার সমস্ত বিমানের টিকিট পুরোপুরি বুক করা হয়ে গিয়েছে। তারপরই দেশের পুরুষ নাগিরকদের রাশিয়া থেকে প্রস্থান আটকাতে ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে একাধিক টুইটে দাবি করা হয়েছে।

বুধবারই রাশিয়ার কাছাকাছি আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, আজারবেইজান, কাজাখস্তানে যাওয়ার সরাসরি বিমানের টিকিট সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার অনলাইন বিমান টিকিট সংস্থার ওয়েবসাইটে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এমনকি তুরস্কের এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, রাশিয়া থেকে তুরস্কের ইস্তানবুল অবধি শনিবার পর্যন্ত সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এদিকে একাধিক সংবাদ মাধ্যম ও টুইটারে বেশ কিছু সাংবাদিক জানিয়েছেন, রাশিয়ার এয়ারলাইনস ১৮ থেকে ৬৫ বছরের পুরুষ যাত্রীদের টিকিট বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন থাকলেই কোনও ব্যক্তি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার দখলে থাকা লুহানস্ক ও ডনেত্‍স্ক অঞ্চল রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবে কি না সেই বিষয়ে 'ভোটাভুটি' হবে। তা হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহেই। আর অনেক আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের কোনও অংশ রাশিয়া যদি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার ফল ভাল হবে না। এবার গতকাল পশ্চিমি দেশগুলিকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েই সেনার গতিবিধি বাড়ানোর কথা জানান পুতিন। পুতিনের এই বক্তব্যে মার্শাল আইন কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা। অর্থাত্‍, এই আইন কার্যকর হলে সাধারণ নাগরিক যাঁদের শারীরিক ক্ষমতা রয়েছে এবং সামরিক বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান ও প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের যুদ্ধে নামানো হতে পারে। পুতিনের এই ভাষণের পরই বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু দাবি করেছিলেন ৩ লক্ষ পুরুষকে সামরিক ক্ষেত্রে পরিষেবার জন্য ডাকা হতে পারে। এদিকে পুতিনের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে রাশিয়ার পথে বিক্ষোভে নেমেছেন রুশ নাগরিকরা। দেশ ছাড়ার হিড়িকও পড়ে গিয়েছে।