মোদী সরকারের 'জল জীবন মিশন' ঠেকাতে পারে ৪ লক্ষ মৃত্যু , WHO রিপোর্ট :

মোদী সরকারের 'জল জীবন মিশন'                              ঠেকাতে পারে ৪ লক্ষ মৃত্যু ,  WHO রিপোর্ট :

য়া দিল্লি: ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের 'জল জীবন মিশনে'র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণ হলে প্রাণে বাঁচবেন লক্ষাধিক মানুষ। এমনই রিপোর্ট দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ডায়েরিয়ার মতো পানীয় জলের সঙ্গে সম্পর্কিত রোগ থেকে যে প্রাণহানি হতে পারে, তা ঠেকানো সম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত ৬২.৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জল পেয়েছেন ৮২ কোটি ভারতীয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলের অভাব থাকার কারণে সেখানকার মানুষ অসুস্থতায় ভোগেন। তার থেকে রেহাই মিলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গ্রামাঞ্চলে একজন মহিলাকে অন্তত ৪০ মিনিট হেঁটে যেতে হত জল আনার জন্য, বিহারে সেই সময় লাগত অন্তত ৩৩ মিনিট আর মহারাষ্ট্রে লাগত ২৪ মিনিট। তারপরও অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্যই ২০১৯ সালে ‘জল জীবন মিশন’-এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হেঁটে যাওয়া তো দূরের কথা, প্রতিটি বাড়ির একেবারে দরজায় যাতে জল পৌঁছনো যায়, সেটাই ছিল মোদী সরকারের লক্ষ্য।

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ভারতের প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ জলের অভাবে ভুগতেন। গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৪৪ শতাংশ এলাকাতেই ছিল না পর্যাপ্ত জল। শুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি হু-র। ২০১৯ থেকে ট্যাপের জল সহজলভ্য হয়েছে একাধিক প্রত্যন্ত এলাকায়। কত মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছয়, সেই বিষয়ে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তা ১৬.৬৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২.৮৪ শতাংশ। মাত্র ৪১ মাসে এইভাবে ‘জল জীবন মিশন’-এর বিস্তার হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের এক আধিকারিক।

হু রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ভারতীয় মহিলারা গড়ে প্রায় ৪৫.৫ মিনিট জল আনার কাজে ব্যয় করতেন। ক্রমে সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।