বিদেশী নয়, মোবাইল ফোনে ব্যবহার করতে হবে দেশি প্রযুক্তি, কড়া নির্দেশ মোদী সরকারের

বিদেশী নয়, মোবাইল ফোনে ব্যবহার করতে হবে দেশি প্রযুক্তি, কড়া নির্দেশ মোদী সরকারের

বিদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হল মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে ইসরো দ্বারা তৈরি 'NavlC' (ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন স্যাটেলাইটে সিস্টেম) প্রসারিত করেছে কেন্দ্র।

এবার এই প্রযুক্তি ভারতে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার করার নির্দেশ দিল সরকার। Apple, Samsung, Xiaomi সহ একাধিক সংস্থাকে এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বলেছে সরকার।

জিপিএস সিস্টেমের উপর নির্ভরশীলতা

এই মুহূর্তে নেভিগেশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তি জিপিএস (GPS) বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা নির্মিত একটি নেভিগেশন যা বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোন এবং গ্যাজেটে ব্যবহৃত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রযুক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চীন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাপান তাদের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম বানিয়ে ফেলেছে।

যেখানে ভারতে ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর হয় NavlC। কিন্তু এটির সম্প্রসারণ উপরোক্ত নেভিগেশন সিস্টেমগুলির তুলনায় এখনও অনেক কম। আর সেই উদ্দেশ্যেই সরকার এবং ভারতের মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা চান এটির ব্যবহার আরও প্রসারিত হোক।

২০২৩ সাল থেকে ফোনে থাকবে NavlC

সরকারের তরফে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে জিপিএসের পাশাপাশি NavlC ব্যবহার করার জন্য ফোনে যেন হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি নয় বিদেশী সংস্থাগুলি। কারণ অতিরিক্ত NavlC নেভিগেশন সিস্টেম যোগ করার ফলে উচ্চ গবেষণা এবং উত্‍পাদন খরচ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাশাপাশি স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তির পর্যাপ্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তাতে সংস্থাগুলির নতুন বছরে পরিকল্পনায় প্রভাব পরবে। Samsung এর ইন্ডিয়া এক্সিকিউটিভ বিনু জর্জ এর কথায়, উদ্বেগের বিষয় হল ফোনে NavIC সমর্থনের জন্য শুধু নতুন চিপসেট নয়, অন্যান্য অনেক উপাদানেরও প্রয়োজন। এর ফলে খরচ বাড়বে এবং একাধিক হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করতে হবে।

সূত্রের খবর, এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৫ সাল করার আবেদন রেখেছে সংস্থাগুলি। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র।