চেনা ভিড় উধাও হলেও করোনা বিধিকে সিঁকেই তুলে চলছে তর্পণ

চেনা ভিড় উধাও হলেও করোনা বিধিকে সিঁকেই তুলে চলছে তর্পণ

সময়বাংলা# করোনাকালে  সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব, স্যানিটাইজার, মাস্ক।কিন্তু মহালয়ার দিন ভোরে এই সমস্ত বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘাটে ঘাটে চলল তর্পণ।তবে অন্যবারের তুলনায় এবারের ভিড় অনেকঅংশে কম।পুলিশ, প্রশাসন যতই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মাইকিং করুক বা বার্তা প্রচার করুক তবুও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশিরভাগ মানুষই।মাস্ক পড়তে দেখা যাচ্ছে না অনেককেই।প্রতিবার অন্ধকার থাকতে থাকতেই শুরু হয় মহালয়ার ভোরের তর্পণ এবার ব্যতিক্রম হয়নি পূর্বপুরুষদের স্মরণ করতে বিভিন্ন ঘাটে ভিড় হয়েছে মানুষের।

কলকাতার জাজেস ঘাট, বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় ভিড় চোখে পরে।তবে অন্যবার যেমন ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হয় কর্তৃপক্ষকে এবার তেমনটা দেখা যায়নি।সূর্য যতই মাথার ওপর উঠেছে ততোই কমেছে ভিড়।

সরকার থেকে পুলিশ প্রশাসনের দিয়ে বিভিন্ন ঘাটে তৈরি করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা।এমনকি বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছিল ট্রাফিক পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল।ব্যবহার করা হয়েছিল ড্রোন।কিন্তু সমস্ত ব্যবস্থাকেই সাধারণ মানুষ কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মানল না বিধি নিষেধ।পুলিশ, প্রশাসনের তরফ থেকে প্রচার বিধি মাইকিং করা হলেও তেমন সুরক্ষা বলয় আবদ্ধ করতে পারল না সাধারন মানুষকে।সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা গেল না মানুষকে। তার সঙ্গে কারুর মাস্ক থুতনিতে কারুর কানে কারুর মুখে মাস্ক দেখা গেল না এদিন। সকালে বাবুঘাটে তর্পণ করতে আসা এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি জানান, হাতে গোনা কয়েকজন পুরোহিতকে পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর পুরোহিতের আকাল পরেছে। ফলে যাকে পাওয়া যাচ্ছে তাকে অনেকে একসঙ্গে মিলে ধরে বেঁধে তর্পণ করানো হচ্ছে ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।বাগবাজার ঘাট এ রকম চিত্র ফুটে উঠেছে।তবে এ বছর বাগবাজারে একটিমাত্র ঘাট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে তর্পনের জন্য।

কলকাতার ঘাটে উপস্থিত পুলিশ কর্তা জানান, 'জমায়েত বেশি হওয়ায় প্রত্যেক মাস্ক পরে আছেন কিনা বা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলছেন কিনা, তা নিশ্চিত করা কঠিন।’ তবে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে তর্পনের কিছুটা বিধি মানতে দেখা গেছে।