গুগল না এসেছিল মাইক্রোসফট সিইও হওয়ার প্রস্তাব সুন্দর পিচাই সম্পর্কে ৫ অজানা তথ্য

গুগল না এসেছিল মাইক্রোসফট সিইও হওয়ার প্রস্তাব সুন্দর পিচাই সম্পর্কে ৫ অজানা তথ্য

গুগল ইনকর্পোরেটেডে এবং অ্যালফাবেট ইঙ্ক-এর প্রধান সুন্দর পিচাইকে আশা করি সকলেই চেনেন। চেন্নাইয়ের এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আইআইটি খরগপুর হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় টেক সংস্থা গুগলের চিফ এক্সিকিউটিভ হওয়ার এই যাত্রা সহজ ছিল না।

কিন্তু এই সুন্দর পিচাই-কে নিয়েই জড়িয়ে রয়েছে অজস্র অজানা তথ্য। যা গণমাধ্যমে খুব একটা প্রকাশিত হয়নি। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই সকল অজানা তথ্যই আলো ফেলবো আমরা। চলুন জানা যাক।

গুগল না, এসেছিল মাইক্রোসফট সিইও হওয়ার অফার

বর্তমানে তিনি গুগলের সিইও হলেও ২০১৪ সালে তাঁকে মাইক্রোসফটের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে দৌড়ে ছিলেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সত্য নাদেলা। যদিও এই পদের জন্য সত্য নাদেলাকেই বেছে নেয় মাইক্রোসফট বোর্ডের সদস্যরা। পরে ২০১৫ সালে গুগলের সিইও হিসাবে নিযুক্ত হোন তিনি।

সুন্দর পিচাইয়ের ঘরে রয়েছে ৩০ টি মোবাইল

২০২৫ সালে এক ইন্টারভিউয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর কাছে কতগুলি স্মার্টফোন রয়েছে। তিনি উত্তরে বলেন, এই মুহূর্তে তাঁর ঘরে ২০ থেকে ৩০ টি স্মার্টফোন রয়েছে। ২০১৩ সালে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড বিভাগের দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নেন সুন্দর পিচাই। তারপর থেকেই তাঁর নেতৃত্বেই গুগল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের উন্মোচন হয়।

সুন্দর পিচাইয়ের রয়েছে একাধিক ডিগ্রি

আইআইটি খরগপুর থেকে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (B.Tech) ডিগ্রির পাশাপাশি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অফ সাইন্স বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। তারপরে ওয়ার্টন স্কুল, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (MBA)।

সুন্দর পিচাইয়ের প্রথম চাকরি গুগল নয়

প্রযুক্তিপ্রেমী সুন্দর পিচাইয়ের প্রথম চাকরি গুগল ছিল না। ২০০৪ সালে সার্চ ইঞ্জিনে যোগ দেওয়ার আগে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালসে কাজ করতেন। তারপর তিনি ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরামর্শ পদেও কাজ করেন।

আজ অবধি যত নম্বর ডায়াল করেছেন সব মনে রেখেছেন তিনি

সুন্দর পিচাইয়ের মা ছিলেন পেশায় শ্রুতিলেখক। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা ও মুখস্ত করার অভ্যাস ছিল তাঁর। তাঁর মনে রাখার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। শোনা যায়, তিনি এখনও অবধি যা যা ফোন নম্বর ডায়াল করেছেন সবই মনে আছে তাঁর। জীবনের যে কোনও ধাপে তিনি সেই নম্বর বলে দিতে পারবেন।