পর্যাপ্ত পণ মেলেনি বিয়ের তিন বছর পরে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী

পর্যাপ্ত পণ মেলেনি বিয়ের তিন বছর পরে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী

বর্তমানে পণপ্রথা বন্ধ থাকলেও সেই পণের কারণেই প্রাণ দিতে হল গৃহবধূকে। বিয়ের তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও পণের অতিরিক্ত টাকা দাবি করে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত হরিবাগান গ্রামে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত গৃহবধূর নাম মিষ্টু বাগদী । জানা গিয়েছে, গত তিন বছর আগে খড়গ্রাম থানার কান্দুরী গ্রামের বাসিন্দা মিষ্টু বাগদী নামের এক যুবতীর সঙ্গে কান্দি থানার হরিবাগান গ্রামের বাসিন্দা পেশায় চাষী বিক্রম বাগদীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিক্রম বাগ্দী এবং তার পরিবারের লোকেরা গৃহবধূ মিষ্টু বাগদির উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত। বিয়ের সময় পণও যৌতুক দেওয়া হলেও বিয়ের পরেও অতিরিক্ত পণের দাবিতে মারধর করা হত প্রায় বলে অভিযোগ মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যদের।

রবিবার রাতে অতিরিক্ত পণের জন্য বাড়িতে একটি পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয় মিষ্টু বাগ্দী এবং তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মধ্যে, অশান্তির পর মিষ্টু বাগ্দীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাদের অভিযোগ অতিরিক্ত পণের দাবিতে বিয়ের তিন বছর পর স্বামী বিক্রম বাগ্দী, শ্বশুর চাঁদা বাগ্দী এবং শাশুড়ি সবোরী বাগ্দী শ্বাসরোধ করে তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মেয়েকে। ঘটনার পরে রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা মৃতদেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতালের এমারজেন্সির সামনে ফেলে চলে যান বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাদের একটি দেড় বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।

এই ঘটনার জেরে সোমবার সকালে বাপের বাড়ির সদস্যরা খবর পেলে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে এসে পৌঁছয়। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কান্দি থানায় স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কান্দি থানার পুলিশ সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এবং খতিয়ে দেখছে ওই গৃহবধুর মৃত্যুর কারণ। ঘটনার ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকা জুড়ে। সোমবার দুপুরে গৃহবধূর দেহ ময়না তদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের হাতে ।ঘটনার পর পলাতক স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।