মায়াপুরের ইসকন মন্দির এর আদলে কালিয়াগঞ্জে জোর কদমে শুরু হয়েছে মন্ডপ তৈরীর কাজ।

মায়াপুরের ইসকন মন্দির এর আদলে কালিয়াগঞ্জে জোর কদমে শুরু হয়েছে মন্ডপ তৈরীর কাজ।

বাঙালিরা বরাবরই ভ্রমণপিপাসু এবং খেতে খুবই ভালোবাসে। আর বয়স কালে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা চায় একটু তীর্থক্ষেত্র গুলি দর্শন করতে। অনেকে যেতে পারেন তাদের আর্থিক পরিস্থিতি একটু ভালো থাকার ফলে আবার অনেকেই যেতে পারেন না মনে থেকে যায় একরাশ দুঃখ এবং বেদনা।

কারন আর্থিক প্রতিকূলতা। কিন্তু বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উত্‍সব দুর্গা পুজোতে এবার সেই সমস্ত মানুষরা যারা দুঃখ-বেদনা নিয়ে ঘরে বসে ছিল তাদের মনে হাসি ফেরাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিল কালিয়াগঞ্জের দক্ষিণ আখানগর সাহাপাড়া দুর্গোত্‍সব কমিটি। এবার তাদের ৫০ বর্ষে অবিকল মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে তৈরি করছে তাদের মন্ডপসজ্জা। এই উত্‍সব কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তরুন সরকার জানান তাদের এবার পঞ্চাশ তম বর্ষে বিশেষ আকর্ষণ করা হয়েছে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে তাদের দুর্গ মণ্ডপ সজ্জা। তিনি বলেন আর্থিক প্রতিকূলতার জন্য অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধারা যেতে পারেন না তীর্থক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে। যেতে পারেন না মায়াপুরের মত বিভিন্ন জায়গায়। এবার তাদের কথা চিন্তা করে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন ইতিমধ্যে এই মন্ডপ শয্যার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। বালুরঘাটের সঞ্জয় চক্রবর্তী উদ্যোগে এই মন্ডপ শয্যার কাজ একদিকে যেমন চলছে জোর কদমে তেমনি বালুরঘাটের মৃত্‍ শিল্পী উত্তম পালের হাতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা তেমনি স্থানীয় সুব্রত কুন্ডুর তত্ত্বাবধানে পুজোর চার দিন থাকবে আলোর ঝর্ণাধারা। তরুণ বাবু বলেন এবার তারা যেই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে তা সত্যিই এক অভিনব। তাই পূজোর কদিন তারা মনে করছেন হাজার হাজার মানুষের ঢল নামবে তাদের এই মন্দির প্রাঙ্গণে। আর মায়াপুর দর্শন করতে পারবেন অনায়াসে সাধারণ মানুষরা তাদের মন্ডপে এসে।
এখন দেখার বিষয় মায়াপুরে ইসকন মন্দির এ টানে কত মানুষের ভিড় হয় তার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে।