"পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করতে হবে, মমতা দিল্লীতে সাধু আর বাংলায় শয়তান", বিস্ফোরক অধীর

"পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করতে হবে, মমতা দিল্লীতে সাধু আর বাংলায় শয়তান", বিস্ফোরক অধীর
"পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করতে হবে, মমতা দিল্লীতে সাধু আর বাংলায় শয়তান", বিস্ফোরক অধীর

নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৯ জুলাই, কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হিংসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লী গেলে তিনি একজন সাধু হয়ে যান এবং কলকাতায় এসেই তিনি শয়তানে পরিণত হন।"

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা কিছু হয়েছে তা তৃণমূলের রক্তচক্ষু।" যেদিন ভোট গণনা হবে সেদিনও একই পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, "একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লী গেলে সাধু হন আর কলকাতায় এলে শয়তান হয়ে যান, এভাবেই চলছে সাধু আর শয়তানের খেলা।"

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "যতদূর নির্বাচনের কথা, পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে না আসে, তাহলে কোনও অবস্থাতেই এখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করা যাবে না।"

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "অনেক ধরনের নিয়মকানুন তৈরি করা হয়েছে, জেনে অবাক হবেন এই লোকেরা কোন পদ্ধতিতে পোল কারচুপি করে। ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স আগেই লুটপাট করা হয়।এতে পুলিশ ও সব ভোটারদের যোগসাজশ রয়েছে।" তিনি বলেন যে, "তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘ সারি তৈরি করে যেখানে লোকেরা একবার জড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে। তখন জনগণকে পালাতে হবে, এখানে কোনও কারণ ছাড়াই সাধারণ মানুষের রক্ত ​​প্রবাহিত হচ্ছে, নির্বাচনের নামে এসব হচ্ছে।"

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আসলে এই নির্বাচনে কেউ জিতলে এত দুর্নীতি হয় যে তাকে ৫ বছর কোনও কাজ করতে হয় না, তাই তিনি যেকোনও উপায়ে এই নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করেন এবং এ কারণেই তিনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। এই নির্বাচনে জিততে।মনোনয়নের তারিখ বের হলে তার আগেই এই মারধর শুরু হয়। প্রথমে চেষ্টা করা হয় যে ব্যক্তি নমিনেশন করবে বা মনোনয়ন দিলেও তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয় এবং আরেকটি রক্তপাত ঘটতে বাকি থাকে।"

বাংলার মতো রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম নয়, শুধু এই নির্বাচন বন্ধ করা উচিত্‍ নয় কারণ এতে অন্তত মানুষের জীবন রক্ষা হবে।