পুজোয় বিজনবাড়ির যাওয়ার প্ল্যান করছেন? কাছেই রয়েছে এই অচিন গ্রাম

পুজোয় বিজনবাড়ির যাওয়ার প্ল্যান করছেন? কাছেই রয়েছে এই অচিন গ্রাম

ল্প কয়েকদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিজনবাড়ি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজনবাড়ি নিঃসন্দেহে একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র যেখানে আপনি অনায়াসে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু এই বিজনবাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে আর একটি পাহাড়ি গ্রাম লামাগাঁও। লামাগাঁওতে সারাবছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকলেও এখানে ভিড় নেই।

অর্থাত্‍ একেবারে অফবিট। পুজোর সময় যদি চারদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে লামাগাঁওতে একরাত্রি কাটিয়ে যেতে পারেন।

বিজনবাড়িতে একদিন ছুটি কাটানোর পর লামাগাঁওয়ের প্ল্যান বানিয়ে নিন। বিজনবাড়ি ছাড়িয়ে ১২ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন এই পাহাড়ি গ্রামে। বিজনবাড়ি থেকে আরও উপরের দিকে উঠতে হবে। বিজনবাড়ি থেকে লামাগাঁও থেকে পাহাড়ের পাকদণ্ডী আঁকাবাঁকা পথও বেশ মনোরম। পথে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামেরও দেখা মিলবে। আবার কোথাও রয়েছে পাহাড়ের ধাপ জুড়ে শুধুই চাষবাস। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে যেতে পাহাড়ের ফাঁকে মাঝে মাঝে ধরা দেবে রঙ্গিত। তারই মাঝে আবার কখন মেঘ এসে আপনাকে ঘিরে ধরবে তা বুঝতে পারবেন না। হয়তো পুজোর সময় কমলালেবুর দেখা পাবেন না। কিন্তু শীতের সময় গেলেই বিজনবাড়ি থেকে লামাগাঁওয়ের রাস্তায় আপনার চোখ জুড়াবে কমলালেবুর বাগান। এর মাঝে আপনি পৌঁছে যাবেন লামাগাঁও।

লামাগাঁও হল লামাদের গ্রাম। অর্থাত্‍ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বা বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের বাস এই গ্রামে। লামাগাঁওকে স্থানীয়রা ইস্কুয়াশ বলে থাকে। পাহাড়ে কোলে এমন নির্জন পরিবেশে সময় কাটাতে মন্দ লাগবে না। হিমেল হাওয়া আপনার মনকে জুড়িয়ে দেবে। বিজনবাড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখা যায় না। কিন্তু প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতার এই পাহাড়ি গ্রাম লামাগাঁও থেকে আপনি তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখতে পাবেন।

গ্রাম জুড়ে অরগ্যানিক ফসলের চাষ। এখানে সারাদিন মেঘেদের আনাগোনা লেগে থাকে। পাহাড়ের খাদে দাঁড়ালে মনে হবে যেন মেঘের দেশে এসেছেন। আর যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে ওই অচিন গ্রাম থেকেই দার্জিলিঙয়ের ম্যাল সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগান দেখা যাবে। মেঘ, রোদ্দুর আর কুয়াশার লুকোচুরিতে লামাগাঁওয়ের সৌন্দর্য অপরূপ। তবে রাতের লামাগাঁওয়ের সৌন্দর্য আরও মনোরম। তারায় ভরা আকাশের নীচে হিমেল হাওয়ায় বসে থাকতে মন্দ লাগবে না এখানে। আর দূরে আলোয় মোড়া দার্জিলিং আরও রোমাঞ্চকর দেখাবেন।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চেপে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি। এখান থেকে গাড়িতে পৌঁছে যান ঘুম। ঘুম থেকে বিজনবাড়ির দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। বিজনবাড়ি থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটারে রয়েছে লামাগাঁও। লামাগাঁওতে রাত কাটানোর জন্য হোমস্টে রয়েছে। এখানে জনপ্রতি থাকা খাওয়া নিয়ে খরচ ২,১০০ টাকা।