রানির প্রয়াণে উত্তরাধিকার সূত্রে যে সম্পদ পেলেন প্রিন্স উইলিয়াম মাথা ঘুরে যাবে

রানির প্রয়াণে উত্তরাধিকার সূত্রে যে সম্পদ পেলেন প্রিন্স উইলিয়াম মাথা ঘুরে যাবে
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রয়াণ ঘটেছে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর), হয়েছে তাঁর অন্তেষ্টিক্রিয়া। তাঁর মৃত্যুর ফলে, ব্রিটেনের রাজদণ্ড হস্তান্তরিত হয়েছে রাজা তৃতীয় চার্লসের হাতে। আর রাজকুমার চার্লস সিংহাসনে বসার ফলে, বদলে গিয়েছে তাঁর বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের রাজকীয় উপাধিও পাল্টে গিয়েছে।

রানির প্রয়াণের আগে পর্যন্ত প্রিন্স উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী ক্যাথরিন মিডলটনের রাজকীয় উপাধি ছিল ‘ডিউক এবং ডাচেস অব কেমব্রিজ’। পাশাপাশি, প্রিন্স উইলিয়াম ‘ডিউক অব কর্নওয়াল’ও বটে। ঠাকুমার মৃত্যুর পর তাঁরা ‘প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস’ উপাধি পেয়েছেন। এই উপাধি এর আগে ছিল তৃতীয় চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলার।

রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের ইচ্ছাপত্র অন্তত ৯০ বছর গোপন রাখা থাকবে। তাই তাঁর সম্পত্তি এবং সম্পদ তিনি কীভাবে তাঁর পরিবার-পরিজনদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে গিয়েছেন, তা এখনই জানার উপায় নেই। তবে, প্রিন্স উইলিয়ামের নয়া রাজকীয় উপাধিও নয়া ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’কে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারি করে তুলেছে। দেখে নেওয়া যাক, উত্তরাধিকারসূত্রে কী কী পেলেন প্রিন্স উইলিয়াম?

– প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে প্রিন্স উইলিয়াম বেশ কয়েকটি দূর্মূল্য জমকালো প্রাসাদ, ঝলমলে অলঙ্কার এবং মূল্যবান শিল্পকর্মের নতুন মালিক হলেন।

– নিউইয়র্ক পোস্টের মতে, সব মিলিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ৪২০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন তিনি।

– প্রিন্স উইলিয়াম এখন প্রিন্স অব ওয়েলসের গেস্টহাউসের মালিক। রোমানিয়ায় কার্পাথিয়ান পাহাড়ের পাদদেশে এবং জালান উপত্যকার তৃণভূমির মধ্যে অবস্থিত এই গেস্টহাউসটি ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ।

– এই গেস্টহাউসটি পরিচালনা করে অলাভজনক সংস্থা, প্রিন্স অব ওয়েলস দাতব্য তহবিল। একই সংস্থা যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম জৈব খাদ্য ব্র্যান্ড ‘ডুচি অর্গানিক’এরও মালিক। অলিভ অয়েল, কুকিজ, সংরক্ষিত স্ট্রবেরির মতো বহু পণ্য বিক্রি করে এই সংস্থা।

– এই দুই উভয় ব্যবসার মুনাফা থেকে বছরে ৩৪ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি আয় হয়। ১৯৭৯ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস।

– প্রিন্স উইলিয়াম বর্তমানে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসাবে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ-সহ একটি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

– দক্ষিণ লন্ডনের ওভাল ক্রিকেট মাঠ, অহিংস পুরুষ অপরাধীদের জন্য তৈরি ডার্টমুর কারাগার, ৪০০০ বাড়ির একটি বিরাট আবাসন প্রকল্পও বর্তমানে প্রিন্স উইলিয়ামের সম্পত্তি।

– হাইগ্রোভ হাউসে তার বাবার সম্পত্তিও পাবেন প্রিন্স উইলিয়াম। ১৯৮৫ সালে এখানেই তৃতীয় চার্লস একটি জৈব খামার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।