'ধর্মযুদ্ধ' সরিয়ে 'বিসমিল্লা'কে নন্দনে জায়গা করে দিলেন রাজ, আপ্লুত ইন্দ্রদীপের কুর্নিশ

'ধর্মযুদ্ধ' সরিয়ে 'বিসমিল্লা'কে নন্দনে জায়গা করে দিলেন রাজ, আপ্লুত ইন্দ্রদীপের কুর্নিশ

ন্দনে স্লট পাওয়া নিয়ে টলিউড পরিচালকদের দ্বন্দ্বের উদাহরণের অন্ত নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই নয়া দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন রাজ চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। সপ্তাহ ঘুরলেও নন্দনে ঠাঁই পায়নি ইন্দ্রদীপের 'বিসমিল্লা'। ওদিকে সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে গত ২ সপ্তাহ ধরে চলছে রাজের 'ধর্মযুদ্ধ'।

এত প্রশংসা কুড়নোর পরও এক সপ্তাহ বাদে কেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের ছবি নন্দনে জায়গা পেল না? উঠেছিল প্রশ্ন তুলেই। নেটমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। নজর এড়ায়নি রাজ চক্রবর্তীর।

ইন্দ্রদীপের পোস্টের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বন্ধুর মতো পাশে দাঁড়ালেন রাজ। নন্দন থেকে নিজের ছবি 'ধর্মযুদ্ধ' সরিয়ে জায়গা করে দিলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের 'বিসমিল্লা'র জন্য। শুক্রবার থেকে দুপুর ১টায় নন্দনে 'ধর্মযুদ্ধ'র পরিবর্তে 'বিসমিল্লা' দেখা যাবে। রাজ চক্রবর্তীর এমন মহানুভবতায় আপ্লুত টলিপাড়ার আরেক পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইন্দ্রদীপ ফেসবুকে লিখেছিলেন, 'নন্দনে এ সপ্তাহেও বিসমিল্লা আসছে না। কারণ আমার মনে হয়, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছবি রয়েছে। 'লক্ষ্মী ছেলে', 'ধর্মযুদ্ধ', 'ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ'কে শুভেচ্ছা।' জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের এমন অভিমনা-ভরা পোস্ট রাজ চক্রবর্তীর নজরে আসতেই নন্দন থেকে 'ধর্মযুদ্ধ' তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। যার ফলস্বরূপ নন্দনে দুপুর ১টার স্লট পেয়েছে 'বিসমিল্লা'। আর সেই প্রেক্ষিতেই পরিচালক-বিধায়কের এমন উদ্যোগে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।

সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই পাশাপাশি রাজের উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে 'বিসমিল্লা' পরিচালক জানান, 'নন্দনের নিয়মানুযায়ী রিলিজের সময়ের ভিত্তিতে সিনেমা প্রদর্শিত হয়। সেক্ষেত্রে ধর্মযুদ্ধ', 'ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ'র পরই আমার সিনেমার স্লট পাওয়ার কথা ছিল। যদি আমরা ১ সপ্তাহে ভাল ফল না করতে পারি। তখন তার পরিবর্তে 'লক্ষ্মী ছেলে' দেখানোর কথা। কিন্তু এত প্রশংসার পরও কীভাবে 'লক্ষ্মী ছেলে' স্লট পেল, আমরা পেলাম না? সেটাই ফেসবুকে লিখেছিলাম। কিন্তু রাজ নিজের সিনেমা সরিয়ে 'বিসমিল্লা'কে জায়গা করে দিল। আমি আপ্লুত। অসংখ্য ধন্যবাদ রাজকে।'

বন্ধু ইন্দ্রদীপের 'বিসমিল্লা'কে জায়গা করে দিয়েও নিজে কোনও কৃতিত্ব নিতে চাননি। উল্টে বললেন, 'আমার যা সামর্থ, তার মধ্যেই সাহায্য করার চেষ্টা করেছি মাত্র। ইন্দ্রদীপের মতো নতুন পরিচালককে জায়গা করে দিতে পেরেছি। সকলকে সাহায্য করতে চাই।'

উল্লেখ্য, 'ধর্মযুদ্ধ'তে যেমন রাজের স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন, ঠিক তেমনই 'বিসমিল্লা'তে ঋদ্ধি সেনের বিপরীতে মূল চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন