8,000 আলোকবর্ষ দূরের লাল চকচকে 'লবস্টার নেবুলা'র ছবি প্রকাশ্যে, সৌজন্যে ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা

8,000 আলোকবর্ষ দূরের লাল চকচকে 'লবস্টার নেবুলা'র ছবি প্রকাশ্যে, সৌজন্যে ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা

ঠিক যেন লেলিহান অগ্নিশিখা। 105 তলা লম্বা বিল্ডিংয়ে যদি আগুন ধরে যায়, তার লেলিহান শিখা যেমন হতে পারে তার থেকে কোনও অংশে কম তো নয়ই, বরং কয়েক গুণ বেশি। লবস্টার নেবুলার একটি চোখধাঁধানো ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। জ্বলন্ত লাল একটা ছবি। সেই ছবিটি তোলা হয়েছে ডার্ক এনার্জি ক্যামেরার মাধ্যমে।

এই ক্যামেরা আসলে এমনই এক যন্ত্র, যা ডার্ক এনার্জির গোপনীয়তা পড়ার জন্য ডিজ়াইন করা হয়েছে। নেবুলা বা নীহারিকা হল ধূলিকণা এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি নক্ষত্র গঠনকারী অঞ্চল। একটি নীহারিকা সাধারণত তারাদের মধ্যে শূন্যস্থানে পাওয়া যায়।

ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা হল, চিলির সেরো টোলোলো ইন্টার-আমেরিকান অবজারভেটরিতে ভিক্টর এম ব্লাঙ্কো টেলিস্কোপের উপরে মাউন্ট করা একটি যন্ত্র। এটি ডার্ক এনার্জি সার্ভে প্রকল্পের অংশ যা অন্ধকার শক্তির প্রমাণ খুঁজে বের করে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এই অদৃশ্য শক্তিই মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের জন্য দায়ী। যখন যন্ত্রটি এই ডার্ক এনার্জি বা অন্ধকার শক্তির প্রমাণ খুঁজছে, টেলিস্কোপটি মহাবিশ্বের কিছু বিস্ময়কর ছবি তুলতেও সক্ষম।

লবস্টার নেবুলার এই ছবিটি খুব সম্প্রতিই তোলা হয়েছে। এটি বৃশ্চিক নক্ষত্রমন্ডলে পৃথিবী থেকে প্রায় 8,000 আলোকবর্ষ দূরে একটি তারা-গঠনকারী অঞ্চল। ছবিটি 400 আলোকবর্ষ জুড়ে বিস্তৃত একটি অঞ্চল দেখায়, যেখানে উজ্জ্বল তরুণ তারাগুলি ধুলো এবং গ্যাসের বিশাল মেঘের উপর ছড়িয়ে রয়েছে।

ডার্ক এনার্জি ক্যামেরাটি উচ্চ-কর্মক্ষমতার জন্য লক্ষ্য করা হয়েছে। NOIRLab দাবি করেছে যে, এটি আলোর সবচেয়ে ক্ষীণ উত্‍সকেও ক্যাপচার করতে পারে। এটি প্রতি রাতে 400 থেকে 500 ছবি সরবরাহ করতে পারে। সম্প্রতি এটি 1 মিলিয়ন ইন্ডিভিজুয়াল এক্সপোজ়ারের মাইলফলক ছুঁয়েছে।

ডার্ক ম্যাটারের প্রমাণ খুঁজতে, বিজ্ঞানীরা এখন অধ্যয়ন করছেন যে কতটা দূরে বস্তুগুলি সরে যায়।