লাল টিপ, সাবেকি সাজ- মহালয়ার আগেই অষ্টমীর মেজাজে কোয়েল মল্লিক

লাল টিপ, সাবেকি সাজ- মহালয়ার আগেই অষ্টমীর মেজাজে কোয়েল মল্লিক

ঢাকে কাঠি এখনও পড়েনি। পিতৃপক্ষের শেষ হতেও আরও কিছুদিন বাকি। ওদিকে আবার আকাশেরও মুখ ভার। বঙ্গোপসাগরে হঠাত্‍ তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কথা জানতে পেরে চিন্তায় ভুরু কুঁচকিয়েছেন বঙ্গবাসীও। তবে এ সবের মধ্যেই বাড়ির দালানে বসে কোয়েল মল্লিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন 'পুজো এসে গিয়েছে'। তাঁর সাম্প্রতিক ফটোশুট যেন অষ্টমীর সকাল।

তাঁর নথ, লাল টিপ আর শরতের ঝলমলে আকাশের মতো হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছে, শ্রেষ্ঠ উত্‍সবের তো আর মাত্র কয়েকটা দিন।

বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন কোয়েল। সাবেকি ধাঁচে সাজিয়েছেন নিজেকে। লাল ব্লাউজ আর অফ হোয়াইট শাড়ির মেলবন্ধনে তিনি হয়ে উঠেছেন মোহময়ী। দিন তিনেক আগেই ওই একই সাজে আরও বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। মল্লিক বাড়িতেই তুলেছিলেন ছবিগুলি। কোয়েলের ওই সাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন নুসরত জাহানও। কমেন্ট বক্সে লিখেছিলেন, “তোমায় অপূর্ব লাগছে”। মল্লিকবাড়ির দুর্গা পুজোর কথা কে না জানে। ছোট থেকেই এই সময়টা কোয়েলের কাছে বড়ই স্পেশ্যাল। বাড়ি-বাইরে পুজো পুজো রব। ব্যস্ত কোয়েলের রুটিনও এই দিনগুলোতে রাখা থাকে বাড়ির লোকেদের জন্য। পুজো নিয়ে নানা স্মৃতিও রয়েছে তাঁর।

কী হতো ছোটবেলায়? কোয়েল বলেছিলেন, “পুজো বলতেই মনে পড়ে ভোগ বিতরণ। ছোড়দি আমাকে ফ্রকের উপর শাড়ি পরিয়ে দিত। ছোড়দিকে আমি লিপস্টিক পরিয়ে দিতাম। মা আমাকে লিপস্টিক পরতে দিত না। গিন্নি বান্নি হয়ে সেজে পুজো দেখতাম আমরা। বয়স্করা নামতে পারতেন না। আমারা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রসাদ দিয়ে আসতাম। অনেক ঘর, অনেক সিঁড়ি আমাদের বাড়িতে।" ব্যস্ততার ফাঁকে কিন্তু কোয়েল দায়িত্বশীল এক মা। ছেলের যাবতীয় দেখভাল করেন তিনিই। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে যেমন ভরা সংসার তেমনই সুযোগ পেলে বাবা রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে মজেন কবিগানের লড়াইয়েও। বাড়ির পুজোয় সাবেকি সাজে তিনি তখন মল্লিক বাড়ির আদরের মেয়ে। পুজোর ডালান সাজানো থেকে ঠাকুর বরণ সবেতেই অংশ নেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রি বলে তিনি নাকি পলিটিকালি কারেক্ট। তাঁকে নিয়ে বিতর্কও নেই। শীঘ্রই কাজে ফিরছেন তিনি। আসছেন মিতিনমাসি হয়ে তবে তারও আগে পুজো আসছে। কোয়েলেও তৈরি হয়ে পড়েছেন পুরোদমে।