প্রতিশোধ নিতে ফিরলাম! জামিনে বাড়ি ফিরেই ট্যুইটারে বার্তা কেআরকে-র

প্রতিশোধ নিতে ফিরলাম! জামিনে বাড়ি ফিরেই ট্যুইটারে বার্তা কেআরকে-র

পুরনো দু'টি মামলায় হাজতবাস। এক সপ্তাহে দু'বার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মাত্র দু'দিন আগে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। থিতু হয়েই ফের ট্যুইটারে ফিরলেন অভিনেতা, পরিচালক, সমালোচক, প্রযোজক কমল রশিদ খান। প্রতিশোধের আগুন তাঁর বুকে।

সে কথাই লিখে বসলেন বিনা দ্বিধায়।

রবিবার সকালে কেআরকে-র ট্যুইট, 'প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছি আমি।' পাশে লাল মুখে রাগের ইমোটিকন।

দু'টি অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। ২০২০ সালের একটি বিতর্কিত ট্যুইট এবং এক ফিটনেস প্রশিক্ষককে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ। অভিযোগকারিনীর দাবি, ২০১৯ সালে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০২১ সালে কেআরকে-র বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন সেই মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, ছবির জগতে কমলের প্রভাবের কথা জেনে তিনি ভয়ের চোটে মামলা দায়ের করতে পারেননি। অভিযোগপত্রে দাবি, ছবিতে নায়িকার চরিত্রের প্রস্তাব দিয়ে তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন কেআরকে।

দিন কয়েক আগে কেআরকে-র ছেলে ফয়জল তাঁর বাবার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ট্যুইট করেন। যেখানে দাবি করা হয়, কেআরকে-র প্রাণনাশের ভয় রয়েছে। তিনি লেখেন, 'আমি কেআরকে-র ছেলে ফয়জল কমল। মুম্বইয়ে কয়েক জন আমার বাবাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। আমি লন্ডনে থাকি। মাত্র ২৩ বছর বয়স। বাবাকে কী ভাবে সাহায্য করব জানি না।' ট্যুইটে অভিষেক বচ্চন, রীতেশ দেশমুখ এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে ট্যাগ করে সাহায্যের আর্জি জানান ফয়জল। শেষে লেখেন, 'বাবাকে ছাড়া আমি আর বোন মরে যাব।'

আরও একটি ট্যুইট করে লেখেন, তিনি চান না যে তাঁর বাবা সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো চলে যান। তাঁর লেখায়, 'বাবা আমাদের জীবন। আমি সকলকে অনুরোধ করছি, বাবাকে সমর্থন করুন যাতে তিনি প্রাণে বাঁচেন।' তার পরেই কেআরকে নিজে ট্যুইট করে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেন।