বাম ছাত্রযুবদের জমায়েতে উপচে পড়ল রাস্তা 'ইনসাফ সভা'র ভিড়ের ঠেলায় অবরুদ্ধ ধর্মতলা মোড়
ভিড়ের আতিশয্যে বদলাতে হল বাম ছাত্রযুবদের 'ইনসাফ সভা'র জায়গা। মঙ্গলবার সকালেও ধর্মতলার ট্রাম টার্মিনাসের পাশে এই সভা হবে বলে ঠিক ছিল। সেই মতো চেয়ার পেতে সাজানো হয়েছিল সভাস্থল। কিন্তু বেলা বাড়তেই দেখা গেল ভিড়ের ঠেলায় উপচে পড়ছে রাস্তা। ভিড় সামলাতে শেষে বাধ্য হয়েই বাম ছাত্রযুবদের সভাস্থল পরিবর্তন করে আনতে হল ধর্মতলার মোড়ে।
বামেদের ছাত্রযুব সংগঠনের এই সভার জন্য পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ''পুলিশের অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই। তবে কমরেডরা আসবেন। জায়গা না হলে মানুষ নিজের জায়গা করে নেবেন।'' ধর্মতলার ট্রাম টার্মিনাসের সভাস্থলে তখন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মীনাক্ষী তদারকি করছিলেন ইনসাফ সভার আয়োজনের। সভার সাফল্য এবং ভিড় নিয়ে প্রশ্ন করতেই ওই জবাব দেন মীনাক্ষী। এ-ও বলেন, ''১২টা বাজতে দিন তার পর দেখবেন।'' দুপুরে সত্যিই 'দেখল' ধর্মতলা চত্বর। বাম ছাত্রযুবদের সমাবেশে উপচে পড়ল রাস্তা।
মঙ্গলবার বামেদের ওই সভায় বক্তৃতা দেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমান, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। এ ছা়ড়াও উপস্থিত ছিলেন নিহত ছাত্র নেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান। তিনিও সভায় বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন, বরুণ বিশ্বাসের দিদিও।
প্রসঙ্গত, আনিস খান হত্যা থেকে শুরু করে কলকাতার রাস্তায় দিনের পর দিন আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য চাকরি দেওয়া— সব সমস্যার বিহিত চেয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্রযুবদের দু'টি শাখা এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। কথা ছিল, শিয়ালদহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন এবং পার্ক স্ট্রিটে বাম ছাত্রযুবরা জমায়েত করে সেখান থেকে মিছিল করে যোগ দেবেন ধর্মতলার ট্রাম ট্রামিনাসের কাছের সভাস্থলে। অথচ তিনটি মিছিলে আসা মানুষের সমাবেশের জন্য সভার জায়গা ছিল খুবই অল্প পরিসর।