যৌনকর্মীরা ফিরছেন পেশায়, বাধ্যতামূলক মাস্ক ও স্যানিটাইজার

যৌনকর্মীরা ফিরছেন পেশায়, বাধ্যতামূলক মাস্ক ও স্যানিটাইজার

সময় বাংলা# পুণের বুধওয়ারপেট এলাকার যৌনকর্মীরা কাজ শুরু করার অনুমতি পেলেন একটি শর্তে। কী সেই শর্ত? শর্তটা হল এমন যে, কন্ডোম তো বটেই, এবার থেকে পুণের যৌনপল্লিতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। যৌনকর্মীদের কাছে যাঁরাআসবেন, তাঁদের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেই যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন যৌনকর্মী শরীরের তাপমাত্রা মাপতে থার্মালগান এবং ফুট অপারেটেড স্যানিটাইজার মেশিন কিনে নিজেদের ঘরে রেখেছেন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে৷ যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

যৌনকর্মীদের জীবনযাপনের উপরেও পড়ছে করোনার প্রভাব৷ লকডাউন পর্বে প্রায় সবারই উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ যদিও শেষ চারমাসে পুণের এই যৌনপল্লির করোনা আক্রান্ত হননি একজন বাসিন্দাও। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে প্রায় চল্লিশ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে৷ তবে আপাতত মাত্র ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। এখনও একজনেরও মৃত্যু হয়নি৷পুণের বুধওয়ার পেট এলাকায় প্রায় ৩০০০ যৌনকর্মী বসবাস করেন৷ মূলত শরীর বেচেই উপার্জন করতে হয় তাঁদের৷ গোটা দেশের মধ্যে পুণেতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷ শুধুমাত্র এই শহরেই ১ লক্ষ৮০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ 

প্রসঙ্গত, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই পুণের এই যৌনপল্লিতে বাইরের কোনো মিনুষকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ পুলিশি প্রহরারও ব্যবস্থা ঢছিল সেখানে। এখনও এই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসনের পাশাপাশি ৷ এবার ফের পেশায় ফেরার অনুমতি পাওয়ায় তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যৌনকর্মীরা ধীরে ধীরে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুণের যৌনকর্মীরাও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার তো রয়েইছে, নিউ নরমালের সাথে তিল মিলিয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে শারীরিক মিলনের বদলে কেউ কেউ 'ফোন সেক্স'-কে বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন৷