স্টেশনে শাহরুখ, ভিড়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু নেতার, ওই মামলায় রায় দিল শীর্ষ আদালত

স্টেশনে শাহরুখ, ভিড়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু নেতার, ওই মামলায় রায় দিল শীর্ষ আদালত

দেশের বাকি নাগরিকদের যা অধিকার, এক জন সেলিব্রিটিরও তাই অধিকার রয়েছে। তাঁদের এমন ভয়ঙ্করভাবে দোষী করা যায় না। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের নেপথ্যে ২০১৭ সালের একটি ঘটনা। যার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা শাহরুখ খান। তাঁর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে অস্বীকার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

মামলাকারী ২০১৭ সালে ভাদোদরা রেলস্টেশনে এক ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন বাদশাকে।

সেই সময়ে শাহরুখের 'রইস' ছবির প্রচারে ভাদোদরা স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সময় হাতাহাতির অভিযোগে। ২০১৭-র ২৩ জানুয়ারি ভাদোদরা রেলওয়ে স্টেশনে বিশাল ভিড় জমা হয়েছিল বলি তারকাকে এক ঝলক দেখার জন্য। অগাস্ট ক্রান্তি এক্সপ্রেসে চেপে শাহরুখ সেখানে উপস্থিত হন। সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ের উন্মাদনা চরমে পৌঁছে যায়। প্রায় পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় হয়েছিল।

স্থানীয় রাজনীতিবিদ ফারহিদ খান পাঠান সেই ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রচারের অংশ হিসেবে অভিনেতা জনতার দিকে 'স্মাইলি বল' এবং 'টি-শার্ট' ছুড়ে দিতে থাকেন। ফলে আরওই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। সে দিন আরও কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।

সেই বছরই কংগ্রেস নেতা জীতেন্দ্র সোলাঙ্কি শাহরুখের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে ভাদোদরার ম্যাজিস্টেরিয়াল কোর্ট থেকে তারকার কাছে সমন পাঠানো হয়। সেই বছরই কয়েক মাস পরে একটি হাইকোর্ট ফৌজদারি মামলাটি খারিজ করে দেয়। জানায়, শাহরুখকে এ ক্ষেত্রে দোষী করা যাবে না, এবং এটাও বলা যাবে না যে তার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই নেতার। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, শাহরুখের কাছে ওই অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য প্রশাসনের অনুমতি ছিল।

সম্প্রতি সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বলে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় শাহরুখ খান সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বা ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেবেন বলে আশা করা যায় না। এক জন তারকারও ট্রেনে ভ্রমণ করার অধিকার রয়েছে। বেঞ্চের কথায়, ''তিনি সেলিব্রিটি কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি অন্য সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আমরা বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে মন দিই। যা এই আদালতের মনোযোগ এবং সময়ের দাবি রাখে।''