করোনা আতঙ্কে অমানবিকতার নিদর্শন উত্তর ২৪ পরগনায়

করোনা আতঙ্কে অমানবিকতার নিদর্শন উত্তর ২৪ পরগনায়
প্রতিকী চিত্র

করোণা আতঙ্কে আবারও অমানবিকতার নিদর্শন উত্তর ২৪ পরগনায়। বিনাচিকিৎসায় রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের, ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত ১ নম্বর ব্লকের দত্তপুকুর থানা বামন গাছির সারদাপল্লীতে। মৃত বিমল স্বামী পেশায় ছিলেন একজন প্যান্ডেল কর্মী গত ১০ দিন ধরে মুখের ভেতরে রক্ত বের হতে থাকে তার সঙ্গে ছিল হালকা জ্বর।

প্রথমে তাকে ছোট জাগুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল আউটডোর নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা করার পর করোনা টেস্ট এর পরামর্শ দেন, তারপর ছোটজাগুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালের ডাক্তারের নির্দেশমতো বিমল বাড়িতে চলে যান কিন্তু ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পাননি তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিমলবাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে থাকে। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট তার স্ত্রী প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে ফোন করেন কিন্তু সেখান থেকে কোনরকম সাহায্য না পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দ্বারস্থ হন। এরপর স্থানীয়দের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় স্বাস্থ্য দপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা করেন । স্বাস্থ্য দপ্তরের এম্বুলেন্স আস্তে প্রায় দু-ঘন্টা কেটে যায়, রাস্তাঘাট জলে ডুবে থাকায় এম্বুলেন্স পৌঁছতে পারে না বিমলবাবুর বাড়িতে তাই আগে থেকেই মরণাপন্ন স্বামীকে হাটিয়ে বড় রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স এর কাছাকাছি নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন স্ত্রী কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, রাস্তাতে পড়েই মারাযান ৫৫ বছরের ওই বৃদ্ধ।

প্রায় দু'ঘন্টা মৃতদেহ পড়েছিল রাস্তাতেই করোণা আতঙ্কে কেউই মৃতদেহের কাছে আসেননি, বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিমল সানির পরিবার। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনেন।