দুবাইতে লঙ্কাকাণ্ড! মেন্ডিস, নিঃশঙ্কদের ব্যাটে ভারতের এশিয়া কাপ অভিযান প্রায় শেষ

দুবাইতে লঙ্কাকাণ্ড! মেন্ডিস, নিঃশঙ্কদের ব্যাটে ভারতের এশিয়া কাপ অভিযান প্রায় শেষ

দুবাইতে দ্বিতীয় অধ্যায় ব্যাট করা মানেই জয় নিশ্চিত সেটা পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। তাই সেক্ষেত্রে টস হারা মানে ম্যাচ হারা, ধরেই নেওয়া যায়। আজ যেভাবে ভারতীয় ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল এবং বড় রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত, তাতে মনে হয়েছিল আজ দিনটা বোধ হয় শ্রীলংকার হতে চলেছে।

কিন্তু এত সহজে ম্যাচটা জিতে নেবে লঙ্কাবাহিনী ভাবা যায়নি। প্রথম থেকে নিঃশনক এবং কুশল মেন্ডিস ঝড়ের গতিতে শুরু করলেন। পাওয়ার প্লে এবং প্রথম ১০ ওভারেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য। লঙ্কার রান ছিল ৯৩/০। কিন্তু ভারতের হয়ে ১২ তম ওভারে পর পর দুটো উইকেট তুলে নিলেন চাহাল। কিন্তু থামানো যাচ্ছিল না কুশল মেন্ডিসকে।

এরপর অশ্বিন তুলে নিলেন গুণতিলককে। ভারত যেন কিছুটা জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছিল। তবে সবচেয়ে দামি উইকেট মেন্ডিসকেও এলভি ডাবলু করলেন চাহাল। কিন্তু এরপর রাজাপক্ষ আক্রমনাত্মক শট খেলা চালিয়ে গেলেন।

শুরুটা ভাল করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। কে এল রাহুল আবার ব্যর্থ। তার সংগ্রহ মাত্র ৬। মনে হয়েছিল বিরাট কোহলি আজকে আবার একটা বড় ইনিংস খেলবেন। কিন্তু আজ খাতাই খুলতে পারলেন না বিরাট। বাঁহাতি পেসার মধুশঙ্কার বলে বোল্ড হলেন ফর্মে থাকা বিরাট। ১৩ রানের মাথায় দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত।

কিন্তু আজ দায়িত্ব নিলেন রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়ক পরিস্থিতি বুঝে এগিয়ে নিয়ে গেলেন ইনিংস। সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন, আর লুজ বল পেলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। অন্যদিকে তাকে সহায়তা করলেন সূর্য কুমার। লঙ্কার লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গাকেও যথেচ্ছ মারলেন।

শেষ পর্যন্ত করুণা রত্নের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন (৭২) করে। যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল একটা সেঞ্চুরি আসতে চলেছে। কিন্তু যখন আউট হলেন ভারতের রান ১১০। শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন ততক্ষণে। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য লঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান।

বল করতে এলেন পান্ডিয়া। ১২ রান দিয়ে গেলেন।ওয়াইড সমেত ভুবনেশ্বর দিলেন ১৪ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। শেষ ওভারে ভালো বল করে লঙ্কার জয় আটকাতে পারলেন না আর্ষদীপ।