স্টারকিড হয়েও সুহানা-বরুণরা অনেক পরিশ্রম করেছে: জুহি চাওলা
স্টারকিড হলেই নাকি পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা! সুযোগ নাকি চলে আসে হাতের মুঠোয়? স্ক্রিপ্ট থাকে রেডি। প্রযোজকেরাও নাকি সেলেব সন্তানকে লঞ্চ করানোর জন্য অপেক্ষা থাকেন অনবরত। বলিউডের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ বহু পুরনো। শুধুই কি অভিযোগ? সে প্রমাণও তো রয়েছে। করণ জোহর থেকে শুরু করে জোয়া আখতার- এঁদের প্রত্যেকেই কখনও না কখনও স্বজনপোষণ দোষে দুষ্ট হয়েছেন।
তাঁর কথায়, “সুহানা ও বাকিদের আমি চোখের সামনে বড় হতে দেখেহচি। শুধু সুহানাই বা কেন? ১৯৯০ সালে ডেভিডজির (ধাওয়ান) সঙ্গে আমি প্রথম কাজ করি। সে সময় ওরা (বরুণ ও রোহিত ধাওয়ান, ডেভিডের সন্তান) খুবই ছোট। এখন সবাই জীবনে কত প্রতিষ্ঠিত। ভাল লাগে ওদের দেখে। ওরা কত গুণী।” এখানেই না থেমে জুহি আরও বলেন, “এরা প্রত্যেকেই ভীষণ পরিশ্রম করেছেন। এমন নয় যে স্টারকিড বলেই স্বেচ্ছাচার করে বেড়াবে। এমন নয় যে সেটে আসবে আর সব কিছু নিজে থেকেই হতে শুরু করবে! সবাইকেই তো বড় হতে দেখেছি।”
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির মধ্যে দিয়েই বলিউডে ডেবিউ হয়েছিল বরুণ ধাওয়ানের। ওই ছবিতে আরও এক স্টারকিডের বলিউডে প্রবেশ ঘটেছিল। তিনি মহেশ ভাটের মেয়ে আলিয়া ভাট। ওই ছবিটি হিট হয়েছিল বক্স অফিসে। এর পর দিন গড়িয়েছে। আলিয়া ও বরুণ, তাঁরা দুজনেই আজ কেরিয়ারের দিক দিয়ে বেশ্য প্রতিষ্ঠিত। অন্যদিকে সুহানা খান অর্থাত্ শাহরুখ ও গৌরী খানের একমাত্র মেয়েরও খুব শীঘ্রই বলিউডে অভিষেক ঘটতে চলেছে। নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘দ্য আর্চিজ’-এ দেখা যাবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিরিজে প্রথম লুক।