Sukanta Majumder: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধির পিছনে 'আসল কারণ' কী? বিস্ফোরক 'দাবি' সুকান্ত মজুমদারের

Sukanta Majumder: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধির পিছনে 'আসল কারণ' কী? বিস্ফোরক 'দাবি' সুকান্ত মজুমদারের

'তোলাবাজি-কাটমানি না নিলে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কী করে হয়'? এই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। বঙ্গ বিজেপির নেতারা বারবারই শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। আক্রমণ করেন চাঁচাছোলা ভাষায়।

আর এবার শাসকদলের একাধিক জনপ্রতিনিধির সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় বিস্ফোরক বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, শুধু পার্থই নন, এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত আরও অনেক তৃণমূল নেতামন্ত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের অস্বস্তি আরও বাড়ল। তৃণমূল নেতাদের আয়বৃদ্ধি নিয়ে দায়ের একটি জনস্বার্থ মামলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে যুক্ত করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।মামলায় ১৯ জন তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বস্তুত, বাংলার নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কী ভাবে এত বেশি হারে বাড়ছে, তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখুক, এমনই আর্জি জানানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই ইডিকেও জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অভিযোগ, বহুগুণ বেড়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় পার্টি করা হয়েছে ইডিকে। এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ওই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করা হোক। আদালতের সেই নির্দেশকেই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম-সহ শাসক দলের তিন মন্ত্রী। এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গেও জিজ্ঞেস করা হলে গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জবাব, 'কোনও রকম বিতর্কে যাচ্ছি না। আমরা চাই যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ সামনে এসেছে তাঁদের সবার সম্পত্তি বৃদ্ধির উত্‍স তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে'।