পুজোর ভ্রমণে এবারের গন্তব্য হোক সুন্দরবন

পুজোর ভ্রমণে এবারের গন্তব্য হোক সুন্দরবন

 শুধু ভ্রমণ নয়, পুজোর দিনগুলিতে যে সমস্ত পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণে আসবেন তাঁদেরকে গ্রাম্য পুজো দেখানোর ব্যবস্থাও রাখছেন ট্যুর অপারেটররা। অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া, ভোগ খাওয়া সবেরই ব্যবস্থা থাকবে বলে তাঁদের দাবি। তাহলে আর দেরি কেন, ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিন আর বেড়িয়ে পড়ুন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভের অরণ্য দেখার জন্য।

বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। অর্থাত্‍ সুযোগ পেলেই বাঙালি ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেড়িয়ে পড়তে ভালোবাসে। আর সামনেই দুর্গাপুজো, এই পুজোর ছুটিতেও অনেকে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। আর সেই কারণে আজ আপনাদের আমরা অত্যন্ত জনপ্রিয় এক পর্যটন কেন্দ্রের পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর হদিশ দিচ্ছি। হাতে যদি দু, তিনদিন সময় থাকে তাহলে আপনার পুজোর ছুটি কাটানোর জন্য অন্যতম গন্তব্য হতে পারে সুন্দরী সুন্দরবন।

মাথার উপরে শরতের নীলা আকাশ, নীচে দিগন্ত বিস্তৃত শান্ত জল রাশি। এরই মধ্যে লঞ্চ বা ভুটভুটিতে চেপে দু'পাশে সবুজ ম্যানগ্রোভের জঙ্গল দেখতে দেখে আপনি হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মধ্যে। সাথে একের পর এক কাঁকড়া, চিংড়ি, পার্সে, ভেটকির লোভনীয় পদ দিয়ে পেটপুজো তো আছেই। আর কপাল ভালো থাকলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, কুমির সহ নানা বন্য জন্তুর দর্শন।

কী ভাবে যাবেন? শিয়ালদা থেকে জয়নগর প্ল্যাটফর্ম থেকে নামিয়া বাসে চেপে কুলতলী কৈখালীতে, সেখান থেকে নদীপথে সুন্দরবন ভ্রমণ করা যাবে। এছাড়া শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চেপে ক্যানিং স্টেশান। সেখান থেকেই ট্যুর অপারেটররা অটোয় চাপিয়ে সোনাখালি নিয়ে যাবেন। সোনাখালি থেকে লঞ্চ বা ভুটভুটিতে চেপে শুরু হবে সুন্দরবন যাত্রা।সড়ক পথে এলে কলকাতা থেকে সরাসরি সোনাখালি কিম্বা গদখালি চলে আসতে পারেন, সেখান থেকে লঞ্চে চেপে সুন্দরবন।

কী কী দেখবেন? গোসাবায় রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত বেকন বাংলো, হ্যামিলটন সাহেবের বাংলো, পাখিরালয় পাখির জঙ্গল, সজনেখালি, সুধন্যখালি, নেতিধোপানী, বুড়ির ডাবরি, ঝিঙেখালি, হরিখালি, ঝড়খালি, কৈখালি সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া নদীবক্ষে ভেসে ভেসে সুন্দরবনের অপরুপ প্রাকৃতিক শোভা তো রয়েইছে।

কী খাবেন? মূলত ট্যুর অপারেটররা ট্যুর শুরু থেকে ট্যুর শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্যাকেজের মধ্যেই থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে লাঞ্চ, সন্ধ্যার স্ন্যাক্স, ডিনার সবই তারা দেবেন। মূলত মাছ, মাংস, কাঁকড়া সব পদ দিয়েই পর্যটকদের রসনা তৃপ্তি করা হয়।

কোথায় থাকবেন? সুন্দরবনে বেড়াতে এসে অনেকেই লঞ্চ বা ভুটভুটিতে রাত্রি যাপন করেন। যদি কেউ তা না করতে চান তাহলে ট্যুর অপারেটররা পাখিরালয়, গোসাবা কিম্বা দয়াপুরের হোটেলে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করে থাকেন। এছাড়া বন দফতরের লজ রয়েছে সজনেখালিতে। সেখানে রাত্রি যাপন করতে হলে বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে।কত খরচ? সুন্দরবন ভ্রমণের খরচ যথেষ্টই কম। ক্যানিং থেকে ক্যানিং পর্যন্ত এক একজন পর্যটকের খরচ মাথাপিছু চার থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যে।

কীভাবে বুকিং করবেন? ক্যানিংয়ে এসে পর্যটকরা সরাসরি নিজেদের ভ্রমণ বুকিং করতে পারেন। অথবা অনলাইনে বুকিংয়ের সুবিধাও রয়েছে।