বৃহন্নলার চরিত্রে সুস্মিতা! কী মত রূপান্তরকাম গৌরী সাওয়ান্তের

বৃহন্নলার চরিত্রে সুস্মিতা! কী মত রূপান্তরকাম গৌরী সাওয়ান্তের

'তালি' ছবির ফার্স্টলুক প্রকাশ্যে আসতেই সুস্মিতা সেনকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন অনেকেই। আবার বেশিরভাগ এও প্রশ্ন তুলেছেন এমন এক দাপুটে চরিত্র, একজন রূপান্তরকামীকে কেন এই চরিত্রের জন্য বাছা হল না?

সুস্মিতার চোখ মুখে চরম অভিব্যাক্তি। হাতে 'তালি', কপালে বড় টিপ, ডিপ রঙের লিপস্টিক - গৌরী সাওয়ান্তের ভুমিকায় তাঁকে লাগছে দারুণ। বেশিরভাগই তাঁকে এই সাহসিকতার জন্য কুর্নিশ জানাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন তো থেকেই যায়। এই প্রসঙ্গে, আসল মানুষের বক্তব্য ঠিক কীরকম? গৌরী সাওয়ান্ত তাঁর নিজের জীবনে দেখেছেন নানা কিছু। একদিনের এক মুহূর্ত তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিলেন। ছোট্ট একটি বাচ্চাকে মায়ের পাশে দেখেই সমাজের নানা স্তর সম্পর্কে তাঁর ধারণা বদলায়।

সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই লড়াই আজ পর্দায় সবার সামনে তুলে ধরবেন সুস্মিতা। সাহসিকতার আরেক নাম তিনি। আর এই চরিত্রের জন্য সুস্মিতা একেবারেই পারফেক্ট বলে তিনি মনে করেন। খুশিতে আত্মহারা গৌরী। কী বললেন তিনি?

সুস্মিতার এই চরিত্রে অভিনয় নিয়ে অনেকেই সঙ্কোচ প্রকাশ করেছেন। রুপান্তরকামীদের ক্ষমতায়ন সম্ভব নয় বলেই দাবি করেছেন অনেকে। কিন্তু গৌরীর মতামত একেবারেই ভিন্ন। বললেন, 'শুরুতেই বলি, এই ছবিতে অনেক রুপান্তরকামী মানুষ অভিনয় করেছেন। তাঁরা রীতিমতো অডিশন দিয়েই সুযোগ পেয়েছেন। এটা একেবারেই ভাবার কারণ নেই যে একমাত্র সুস্মিতা এতে অভিনয় করছেন'।

এখানেই শেষ নয়। সুস্মিতার এই চরিত্রে অভিনয় করার সাহসিকতাকে সম্মান জানিয়েছেন গৌরী। বললেন, 'এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়! আমরা সবসময় নারী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছি। একজন নারী রাজি হয়েছেন, এই চরিত্রের জন্য। এটা দুঃসাহসিক কাজ। সুস্মিতার সাহস আছে এটা জানতাম। তিনি আমার প্রথম পছন্দ। একজন মহিলার এই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ সত্যি প্রসংশার যোগ্য'।

এই সমাজে তাঁর অবদান নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। প্রচুর মানুষের জীবন পালটেছেন। শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব যেমন নিয়েছেন। তেমনই প্রচুর মেয়েদের জীবনে আলোর দিশা হয়ে এসেছেন তিনি।