যে কারণে চিকিত্‍সকরা কচুশাক খেতে বলেন

যে কারণে চিকিত্‍সকরা কচুশাক খেতে বলেন

কচুশাক এদেশে বেশ সহজলভ্য।

তবে অনেকেই কচুশাক পছন্দ করেন না। যদিও এতে রয়েছে অনেক গুণ। কচুশাকে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। শরীরে ভিটামিন 'এ'এর অভাবে হওয়া যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে কচুশাক জাদুর মতো কাজ করে। কচুশাক রাতকানা, চোখে ছানি পড়ার মতো বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমায়। দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে ডাক্তার কচুশাক খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ কচু আয়রনের ভালো উত্‍স। তাই কচুশাক খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। ভিটামিন 'এ' এর পাশাপাশি ভিটামিন 'বি' ও ভিটামিন 'সি'ও আছে। মুখ ও ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এই ভিটামিনগুলো খুব দরকারি। এতে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও কচুশাকে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়ামও হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সাধারণত হজমের সমস্যা থেকেই দেখা যায়। কচুশাকে আছে ফাইবার যা খাবারকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। কচুশাকে রয়েছে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে শরীরে অক্সিজেনের সংবহন পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। এছাড়াও কচুশাকে ভিটামিন 'কে'ও আছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এটিতে ভিটামিন ও খনিজ থাকায় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় কচুশাক।