নাবালিকার সঙ্গে সহবাস, অপরাধীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

নাবালিকার সঙ্গে সহবাস, অপরাধীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

 পশ্চিম বর্ধমান: নাবালিকার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অপরাধে এক যুবককে দশ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। দু'বছরের বেশি সময় ধরে আসানসোল জেলা আদালতে মামলা চলছিল। আদালত সূত্রে খবর ওই যুবকের নাম সুরেন্দ্র হাঁসদা। শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচার এডিজে (সেকেন্ড) তথা পকসো মামলার স্পেশ্যাল জজ শরণ্যা সেন প্রসাদ।

এই দিনেই তিনি সাজাও ঘোষণা করেন। সুরেন্দ্রকে ১০ বছরের সাজা সমেত দশ হাজার টাকা জরিমানায় করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে অপরাধীকে।

সরকারি আইনজীবী জানান, সহবাসের কারণে নাবালিকার একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দু'জনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নাবালিকাকে ভিকটিম ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থার তিনি আর্জি জানিয়ে ছিলেন বিচারকের কাছে। সেই আর্জিতে বিচারক ওই ফান্ড থেকে নাবালিকাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ৭ মে ডামরা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকার পরিবার আসানসোল দক্ষিণ থানায় সুরেন্দ্র হাঁসদা বিরুদ্ধে মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতির দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে নাবালিকার আত্মীয়রা জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ মাস ধরে ওই নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল অভিযুক্ত। এতে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এত খবর জানার পরেই নাবালিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে। জানা যায়, সুরেন্দ্র আগে থেকে বিবাহিত ছিল। নাবালিকার মেয়ের সঙ্গে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলায় সুরেন্দ্র বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা হয়। এরপরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই নাবালিকা সন্তানের জন্ম দিয়েছে।মামলা চলার সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে পিতৃপরিচয় জানতে সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, ওই সন্তানের বাবা অভিযুক্তই। এই মামলায় চার চিকিত্‍সক সহ মোট নয় সাক্ষীর কথা শোনার পর সাজা ঘোষণা করেন।