বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে পথে নামলো সর্ব-সাধারন

বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে পথে নামলো সর্ব-সাধারন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর# বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে এবার পথে নামলো সর্ব সাধারন। ভি সি গো ব্যাক শ্লোগানও উঠলো। সোমবারে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লোগানে- প্রতিবাদে-পথে হাঁটলেন হাজারো মানুষ। শান্তিনিকেতনের প্রবীন আশ্রমিক থেকে ছাত্র- ছাত্রী, স্হানীয় ব্যাবসায়ী থেকে রাজনৈতিক, অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব থেকে সাধারন মানুষ। শান্তিনিকেতন আছে শান্তিনিকেতনেই। বোলপুর শান্তিনিকেতনের মানুষ দল মত জাতি ধর্ম বর্ন মিলেমিশে এক হলো।  রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভালোবাসা, তার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কে যে বোলপুর শান্তিনিকেতন বাসী বুক দিয়ে আগলে রাখবে তা আজ বোঝা গেলো। 

ভূবনডাঙ্গা মেলার মাঠ টি ইঁট বালি পাথর দিয়ে কংক্রীটের মোড়কে ঘিড়ে দিতে চায় বিশ্বভারতী। বলা ভালো উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিন্তু তা হতে দেওয়া যায় না। শান্তিনিকেতন কে খোলা আকাশের নীচেই মানাই। বললেন সমাজকর্মী বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী নুরুল হক। প্রাচীর দেওয়া মানেই শান্তিনিকেতনের পরিবেশ, সংস্কৃতি কে নষ্ট করা। তা করে টাকাও নষ্ট করা। এসবের কি দরকার?  উপাচার্য রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, আবেগকে আঘাত করছেন। তিনি যা খুশি করতে পারেন না। বললেন মিছিলে পা মেলানো বোলপুরের ব্যাবসায়ী অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব অরবিন্দ কুমার। 

গতকাল রাতেই সোস্যাল মিডায়াই আমন্ত্রন জানানো হয়, সমাজের সর্ব সাধারন মানুষের অংশগ্রহনের জন্য। যেখান। দল মত নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এসে যেন প্রতিবাদ করে। বিশ্বভারতীর এই মেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়াই ব্যাবসায়ী সমিতির সঙ্গে বোলপুর নাগরিক মঞ্চ, সমাজকর্মী, ছাত্র- ছাত্রী, প্রাক্তনী থেকে আশ্রমিক সকলকেই দেখা গেলো। 
লড়াইটা অনেক ঘড়ে-বাইরের। যারা এখানকার স্হায়ী বাসিন্দা। রবি ঠাকুরের প্রতি প্রেম ভালোবাসা আবেগ দিয়ে শান্তিনিকেতনকে ভালোবাসে তারা একদিক আরেক দিকে বাইরে থেকে চাকরী করতে আসা একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তির। সবার ক্ষোভ উপাচার্যের বিরুদ্ধেই।