ঘাতক গাড়ি নাকি ফলো করছিল বেশ কিছুদিন পথ দুর্ঘটনায় তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য

ঘাতক গাড়ি নাকি ফলো করছিল বেশ কিছুদিন পথ দুর্ঘটনায় তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য

বাজার যাচ্ছিলেন। মাঝপথেই শেষ জীবন। পিছন থেকে একটি পিকআপ ভ্যান পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় বাইক আরোহী তৃণমূল কর্মীকে। বাজারে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিপুল শেখের (৪৬)। ঘটনা কি নিছকই দূর্ঘটনা? তেমনটা অন্তত মনে করছে না মৃতের পরিবার। তাদের দাবি খুন হয়েছেন তাঁর।

তবে কি পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ? উত্তর খুঁজতে পুলিশের দারস্থ হচ্ছে পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার মির্জাপুর বাছড়া এলাকায়। পেশায় ওই তৃণমূলকর্মী ব্যবসায়ী। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় হোটেল রয়েছে তাঁর। এ দিন, তিনি হোটেল থেকে রঘুনাথগঞ্জ মির্জাপুর বাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্কা মারে তাঁর বাইকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন বিপুল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক ভ্যানটিকে আটক করেছে পুলিশ।

যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, এই ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। কারণ কিছুদিন ধরেই নাকি ওই গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সময়-সময়ে সেটি ফলো করছিল বিপুলকে। বিষয়টি বুঝতে পারলেও ততটা গুরুত্বপূর্ণ দেননি ওই ব্যক্তি। এ দিনের দুর্ঘটনার পর তাই ইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে পরিবারের তরফ থেকে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রোজ ফলো করত ভ্যানটি। এ দিনও একইভাবে গাড়িটি কালিতলা নামের একটি বটগাছের আড়ালে অপেক্ষা করছিল। বিপুল রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সেটি দুরন্ত গতিতে ধাক্কা মারে তাকে। বাঁ দিকে জায়গা থাকা সত্ত্বেও গাড়িটি ডানদিকে থাকা বিপুলকে পিষে দেয়। ঘটনার সময় ভ্যানটি ব্রেক কষেনি। তাই আমাদের সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে। আমরা চাই প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। এই ঘটনা কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়।’