দেশের টাইটানিক এসএস রামদাস জাহাজ ডুবে যাওয়ার রহস্য

দেশের টাইটানিক এসএস রামদাস জাহাজ ডুবে যাওয়ার রহস্য

জু জুলাই ১৯৪৭ সাল,শনিবার সকাল ৮টায় দেশের টাইটানিক নামে এসএস রামদাস জাহাজ সমুদ্রে ডুবে যায়। সামুদ্রিক ইতিহাসে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এই জাহাজটি রেওয়াস যাচ্ছিল। ধীরে ধীরে জাহাজে সকল যাত্রীতে ভর্তি হতে থাকে। আগের দিন বৃষ্টি হলেও সেদিন ছিল পরিষ্কার আবহাওয়া। প্রস্তুতি শেষ হলে সুপারিনটেনডেন্ট বাঁশি বাজিয়ে দিয়ে জাহাজ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন।

৮ কিলোমিটার যাওয়ার পর হঠাত্‍ আবার বৃষ্টি আসে। ধীরে ধীরে সমুদ্রের ঢেউয়ের জোরে জাহাজ আটকে যেতে থাকে। ঢেউয়ের দমকা হাওয়ায় জাহাজটি তির্যক হয়ে জল ভরতে শুরু করে। ফলে জাহাজের চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। জীবন বাঁচাতে লাইফ জ্যাকেট লাগাতে চায় সকলে।

বোর্ডে অল্প সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট থাকায় ক্যাপ্টেন বারবার শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেও কেউ তার কথা শুনতে ও মানতে প্রস্তুত হয় না।

জাহাজের লোকেরা পরিস্থিতি দেখে বুঝতে পারে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে। বৃষ্টির মাঝে জাহাজ এগিয়ে গেলে গলস দ্বীপের কাছে এসে সামনে থেকে একটি শক্তিশালী ঢেউ জাহাজটিকে উল্টে দেয়। কিছু লোক জলে ঝাঁপ দিয়ে তাদের জীবন বাঁচান।

সকাল ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ওই সময় জাহাজে ৬৭৩ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার সময় যারা সাঁতার কেটে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, তারা মুম্বাই গিয়ে তথ্য দেন। কারণ তখন জাহাজে কোনও বেতার ট্রান্সমিটার ছিল না।