চালের মজুত যথেষ্ট, দাবি করছে কেন্দ্র
অন্যান্য বারের তুলনায় কম জমিতে চাষ হওয়ায় এবং অনিয়মিত বর্ষার ফলে খরিফ মরসুমে দেশে ৬০-৭০ লক্ষ টন কম চাল উত্পাদন হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। কোনও কোনও মহল মনে করছে এই ঘাটতি আরও বেশি হতে পারে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে চালের দাম থাকতে পারে উঁচুতেই। যা চাপ বাড়াবে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধিতে।
টানা তিন মাস কমার পর অগস্টে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার ফের মাথা তুলে ৭% ছুঁয়ে ফেলেছে। গত এক বছর ধরে চালের দামও উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই অবস্থায় চাল উত্পাদন কমলে মূল্যবৃদ্ধির উপর চাপ বজায় থাকবে। ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বরের হিসাবে পাইকারি বাজারে কুইন্টাল প্রতি চালের গড় দাম এক বছরের মধ্যে ১০.৭% বেড়ে ৩০৪৭.৩২ টাকা থেকে হয়েছে ৩৩৫৭.২০ টাকা। খুচরো বাজারে কেজি প্রতি তা ৩৪.৮৫ টাকা থেকে পৌঁছেছে ৩৮.১৫ টাকায়। বৃদ্ধির হার ৯.৪৭%। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের এক নিবন্ধে খাদ্যশস্য এবং আনাজের দাম নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চন্দের অবশ্য দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সার এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধির জন্যই চালের দাম বেড়েছে। চাল রফতানির উপর ২০% শুল্ক বসানোর কৌশল যদি কাজে লাগে, তা হলে শস্যটির মূল্যবৃদ্ধির হার ৫-৬ শতাংশে নেমে আসবে। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের সচিব পি কে জোশী মনে করেন, রফতানি শুল্ক চাপানো হয়েছে গণবণ্টন ব্যবস্থার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। উদ্বেগের কিছু নেই।