'প্রমাণ আছে তৃণমূলীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিলীপ ঘোষ' 'সাচ্চা' বিজেপির বৈঠকে তোলপাড়

'প্রমাণ আছে তৃণমূলীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিলীপ ঘোষ' 'সাচ্চা' বিজেপির বৈঠকে তোলপাড়
নবান্ন অভিযানের আগে বিজেপি'র অস্বস্তি বাড়িয়ে সোচ্চার হল 'সাচ্চা' বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব সবাই। নবান্ন অভিযানে যাওয়া নিয়েও অনেকের মন নেই, সাচ্চা মন থেকেই সেকথা জানালেন সবাই। বিজেপি রাজ্য দফতরের নাকের ডগায় হয়ে গেল সাচ্চা বিজেপির বৈঠক।

রবিবার দুপুরে।

এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমর কুমার বিশ্বাস। তিনি শুরুতেই জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে আমন্ত্রণ করা হলেও আসেননি তিনি। এরপরই তাঁর সাফ বক্তব্য, যে সিস্টেমে রাজ্য বিজেপি চলছে তাতে পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারবে না। নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়া নিয়েও দ্বিধা দ্বন্দে এই পুরনো কর্মীরা। বৈঠকের পোশাকি নাম, বরিষ্ঠ ও নিষ্ঠাবান বিজেপি কার্য্য কর্তাদের আলোচনা সভা। সভা শুরু হতেই যা হয়ে দাঁড়াল বর্তমান নেতৃত্বের ওপর অনাস্থা, ক্ষোভ প্রদর্শনের মঞ্চ।


চিত্তরঞ্জন এভিনিউ-এর মাহেশ্বরী সদরে হওয়া রবিবারের সভায় কাঁথি, আসানসোল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি অনেক জেলা থেকেই বিজেপি কর্মীরা যোগ দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরনো বিজেপি কর্মী মানব ঘোষ এখন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা। নবান্ন অভিযানে সত্‍ বিজেপি কর্মীরা কেউ যাবেন না বলে তাঁর ঘোষণা। তিনি আরও বলেন, 'দিলীপ ঘোষ মিডিয়ায় নিজেকে বলেন বাঘের বাচ্চা। আমি বলছি সে একটা বিড়াল।'

তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিলীপ ঘোষ। আমার কাছে প্রমাণ আছে। তৃণমূল, সিপিএম থেকে আসা দালালরা এখন বিজেপি করছে। তাঁর ঘোষণা,ধান্দাবাজদের বিজেপিতে রাখা যাবে না। আমাদের আন্দোলনেই বিজেপি সভাপতি পদ থেকে সরতে বাধ্য হয় রাহুল সিনহা। আমাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতেই দিচ্ছে না। আশিস কুমার দাস, প্রাক্তন লোকসভার প্রার্থী। তাঁর বক্তব্য, ২০২১ সালের পর থেকে দলের বিপর্যয় হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারবে না। যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। কাউকে হেলিকপ্টারে নিয়ে এসে বিজেপির নেতা করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে লিফটে করে চড়িয়ে নেতৃত্বে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোক ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু তার জন্য স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্বের দরকার।"

বিদেশ বসুমাইতি, বিক্ষুব্ধ তিনি বেশি করে সরব হন কাঁথির অধিকারী পরিবার নিয়ে। নাম না করে তাঁর তোপ,"পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ঢোকানোর লড়াই আমাদের নয়। ভাগাড় চুরি করা লোক এখন বিজেপি নেতা। ২০১৯ সালে কাঁথি অমিত শাহ সভা বানচাল করার চক্রান্তকারী আজ পদ্মফুলের হয়ে ভোট চাইছেন। এ কী মানুষের কাজ! সেদিন ২০০ মহিলাকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। সমস্ত দোকান পাট বন্ধ করা হয়েছিল। হেলিপ্যাডে জল দেওয়া হয়েছিল। কাঁথির মণ্ডল সভাপতি কে হবেন তা ঠিক করে দিচ্ছে তৃণমূল থেকে আসা নেতা।" এদিনের সভামঞ্চ থেকে প্রস্তুত একটি স্মারকলিপি বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদারে'র কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।