ট্রেনে সিটের ফাঁকে দাঁড়ানো যাত্রীর পায়ে ব্যাগ ঠেকতেই অদ্ভূত অনুভূতি হয়েছিল, পুটলি খুলতেই শিউরে উঠলেন সকলে

ট্রেনে সিটের ফাঁকে দাঁড়ানো যাত্রীর পায়ে ব্যাগ ঠেকতেই অদ্ভূত অনুভূতি হয়েছিল, পুটলি খুলতেই শিউরে উঠলেন সকলে

ক্ষিণ ২৪ পরগনা: ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। সিট ভর্তি, সামনের ফাঁকা অংশেও লোকের ভিড়। তারমধ্যেই এক যাত্রীর পায়ে ঠেকেছিল ব্যাগটা। খোঁচা খোঁচা অনুভূত হয়েছিল। তারপর থেকে ওই যাত্রীর নজর আটকেছিল ওই ব্যাগে। তিনটি ব্যাগ পাশাপাশি সিটের নীচে রাখা। আর ব্যাগগুলো ক্রমাগত নড়ছিল। সেটা দেখেই যাত্রী জিজ্ঞাসা করা শুরু করেছিলেন ব্যাগটা কার?

যিনি মালিক, তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়েই যাচ্ছিলেন। চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলেন। চেপে ধরতেই তিনি স্বীকার করেন। ততক্ষণে অন্যান্য যাত্রীরাও সজাগ হয়ে যান। যাত্রীর মালিকের কথাতেও ছিল অসঙ্গতি। চেপে ধরে খোলানো হয় ব্যাগ। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ অন্যান্য যাত্রীদের। তিন-তিনটি ব্যাগ ভর্তি গোসাপ। জ্যান্ত। বদ্ধ ব্যাগে ছটফট করছে তারা।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা লাইনের ডাউন ট্রেন থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি ব্যাগ ভর্তি গোসাপ।

ঘটনাটি রবিবার বিকালের। লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনেই যাত্রীরা প্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন। ব্যাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় মালিকের খোঁজ করা হয়। তারপর যাত্রীরাই খবর দেন আরপিএফে। শুরু হয় তল্লাশি। নজরদারির সময় ট্রেনে যাত্রীদের সিটের তলা থেকে ব্যাগগুলিকে উদ্ধার করা হয়।

ব্যাগে মোট ১৪ টি গোসাপ ছিল বলে আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। ব্যাগের মালিককে গ্রেফতার করে কাকদ্বীপ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতে গোসাপগুলোকে বনদফতরের নামখানা রেঞ্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৪ টি গোসাপের মধ্যে দুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে কে বা কারা কী কারণে এই গোসাপগুলোকে পাচার করছিল, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বনদফতর।

বনদফতরের আধিকারিকরাই জানাচ্ছেন, ভারতে গোসাপ জাতীয় সরীসৃপদের মূল্য ও ক্রেতার সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারগুলি সকল আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নানা দেশের সীমান্ত দিয়ে দিয়ে পেরিয়ে যায় এই ধরনেপ সরীসৃপগুলি। যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।