পুজোর আগে ওয়্যাক্সিং করাবেন ভাবছেন? মসৃণ ত্বকের মালিক হতে গিয়ে ভুল করে ফেলছেন না তো

পুজোর আগে ওয়্যাক্সিং করাবেন ভাবছেন? মসৃণ ত্বকের মালিক হতে গিয়ে ভুল করে ফেলছেন না তো

পুজোর আগে কমবেশি রূপচর্চা করবেন সকলেই। ওয়্যাক্সিং করাতে লাইন পড়বে পার্লারের সামনে। মোমের মতো মসৃণ ত্বক পেতে গেলে ওয়্যাক্সিং ছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই। পুজোয় পছন্দের পোশাক পরতে গেলে একটু কসরত করতে হবে। আর অবাঞ্চিত লোম তোলার জন্য ওয়্যাক্সিংই সেরা উপায়। ওয়্যাক্সিং করলে ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর হয়ে যায়।

পাশাপাশি ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে। যদিও ওয়্যাক্সিংয়ের ব্যথা এড়াতে অনেকেই রেজ়র বা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম বেছে নেয়। কিন্তু ওয়্যাক্সিং করার আগে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কেও সচেতন হয়ে থাকা জরুরি। ওয়্যাক্সিং করলে অবশ্যই সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে তবেই এই পথে এগোনো উচিত।

ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়

আমাদের ত্বক ইলাস্টিকের মতো। ত্বকের উপর টান পড়লে তা ইলাস্টিকের মতো প্রসারিত হয়ে যায়। ছেড়ে দিলে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যায়। কিন্তু বার বার ওয়্যাক্সিং করলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। ত্বক ঝুলে পড়ে। ত্বক কুঁচকে যায়। ত্বকের উপর বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা দেখা যায়।

ত্বকের উপর র‍্যাশ বের হয়

কোল্ড ওয়্যাক্স করলে সাধারণত কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। তবে পণ্যের কারণে র‍্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু বেশি সমস্যা দেখা দেয় হট ওয়াক্সের ক্ষেত্রে। অনেক সময় গরম মোম ব্যবহারের কারণে ত্বক পুড়ে যায়। এমনকী এর কারণে ত্বকের উপর জ্বালাভাব শুরু হয়। ত্বকের উপর লাল র‍্যাশ দেখা দেয়। ওয়্যাক্সিং করানোর পর রোদে বের হলেও হাত-পায়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও সংক্রমণের সমস্যা থাকে, তাই সংবেদনশীল ত্বক হলে ওয়্যাক্সিং এড়িয়ে চলুন।

ত্বক কালো হয়ে যায়

ত্বকের উপর ক্রমাগত কোনও পণ্য ব্যবহার করলে মেলোনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকের উপর পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা বেশি দেখা যায় আন্ডার-আর্মে। আন্ডার-আর্মে নিয়মিত ওয়্যাক্সিং করালে আন্ডার-আর্ম কালো হয়ে যায়। এছাড়াও ত্বকের উপর বিভিন্ন জায়গায় কালচে ছোপ দেখা যায়। এই সমস্যা এড়াতে ওয়্যাক্সিংয়ের পর তেল, ক্রিম বা কোনও লোশন ব্যবহার করুন।

ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা বেড়ে যায়

ওয়্যাক্সিং করার ফলে ত্বকে ইনগ্রো হেয়ারের সমস্যা বাড়তে পারে। অর্থাত্‍ লোম ত্বকের উপর দিয়ে বেরোনোর বদলে ত্বকের ভিতর দিয়ে বাড়তে থাকে। এতে ত্বকের টেক্সচার নষ্ট হয়ে যায়। ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা এড়াতে ওয়্যাক্সিং করার পর ত্বক এক্সফোলিয়েট করে নিন।