এ যেন ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন একের পর এক প্রতিমার মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিল্পীরা

এ যেন ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন একের পর এক প্রতিমার মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিল্পীরা

প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল । সারারাত ধরে ফিনিশিং টাচ দেওয়ার পর আজ সকালে নির্দিষ্ট মণ্ডপের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল প্রতিমা গুলির। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল এই অঘটন। কারা করল ? কেন করল ? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বর্তমানে মুশকিল ।

কিন্তু যা ক্ষতি তাঁরা করে দিয়ে গিয়েছে তা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হবে মৃত্‍শিল্পীদের । একথা ভালোমতোই বুঝে গিয়েছেন তাঁরা যার কারণে সাত সকালে একাধিক প্রতিমার বিকৃত মুখ দেখে অজান্তেই চোখে জল চলে আসে প্রতিমা তৈরির কারিগরদের।

ঘটনাটি আসলে কী?

সারা রাত ধরে কাজ করার পরে ভোরের দিকে ক্লান্তির ফলেই চোখ লেগে গিয়েছিল শিল্পীদের। তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সকালে যখন ওঠেন তখন তা!রা দেখতে পান একাধিক প্রতিমার মুখ বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে। রাত পর্যন্ত যাদেরকে সুসজ্জিত দেখেছিলেন মৃত্‍শিল্পীরা সকালে উঠে সেই লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী কার্তিক সহ প্রায় ২২ টি প্রতিমার মুখ চেনা দায় । এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিলকান্দা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগেন্দ্রনগর দীপাবলি মৃত্‍শিল্পালয়ে।

করোনার আকাল কাটিয়ে চলতি বছরে ৩০ টি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করার বরাত পেয়েছিলেন তাঁরা । কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন সময় মত । সেই কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল । আজ বেশ কিছু প্যান্ডেলে প্রতিমা গুলি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই চক্ষু চড়ক গাছ শিল্পীদের । কারণ দুর্গা প্রতিমার মুখ নষ্ট না করতে পারলেও লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতীর সহ অন্যান্য মূর্তির মুখ পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই কাজ কাদের সেই সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ধারনা নেই মৃত্‍শিল্পীদের।

কিন্তু তাদের অভিযোগ যাতে সময় মতো ডেলিভারি না দিতে পারেন তাঁরা এর জন্যই এই ধরনের জঘন্য কাজ করা হয়েছে।মৃত্‍শিল্পালয়ের মালিক জানান, এই ক্ষতি বিপুল অঙ্কের। কিভাবে সে ক্ষতিপূরণ করা হবে তা তাঁর জানা নেই। কিছুই তিনি এই মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারছেন না। পুলিশকে খবর দেওয়ার পরে ঘোলা থানার পুলিশ সেখানে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তাই শত চেষ্টা সত্ত্বেও বাধা মানল না চোখের জল।