রিয়্যাল টাইম ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে টুইট করতে পারে এই গাছ

রিয়্যাল টাইম ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে টুইট করতে পারে এই গাছ

রিয়্যাল টাইম ভিত্তিতে জলবায়ু সংকট রেকর্ড করছে একটি গাছ। 87 ফুটের একটি নর্দার্ন রেড ওক গাছ, যা আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু সেই গাছই জলবায়ু সংকটের মতো পৃথিবীর এই মুহূর্তের সবথেকে বড় কাজটি করে দেখাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটারশাম ফরেস্টের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই বিশেষ গাছটি

এই গাছের অবাক কাণ্ড কারখানার এখানেই শেষ নয়। এর পরেও গাছটি জলবায়ু সংকট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য রিয়্যাল টাইম ভিত্তিতে টুইটও করে। হার্ভার্ড ফরেস্টের একটি দল এই নর্দার্ন রেড ওক গাছটিকে সেন্সর দিয়ে যুক্ত করেছে, সেখান থেকেই ডেটা কোড হিসেবে গাছের কথা বলার সহায়ক হয়ে ওঠে।

সিবিএস-এর সঙ্গে কথোপকথনের পরে হার্ভার্ড ফরেস্টের আউটরিচ ডিরেক্টর ক্লারিস হার্ট বলছেন, “কোন দিনটা সত্যিই ঠান্ডা আর কোন দিনটা সত্যি গরম, সেই সব তাপমাত্রা সম্পর্কে কথা বলতে পছন্দ করে গাছ।”

গাছটি ঠিক কী টুইট করে

গাছটিকে একটি স্যাপ ফ্লো সেন্সর দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে, যাতে গাছের উপরে এবং নিচে কতটা তরল প্রবাহিত হয় তা মূল্যায়ন করা যায়। এছাড়াও রয়েছে একটি গ্রোথ সেন্সরও যা বাস্তব সময়ে গাছটিকে পর্যবেক্ষণ করে। রয়েছে একটি ক্যামেরা, যা পাতার ছাউনি মাপার জন্য ছবি তুলতে থাকে। একসঙ্গে মিলিত এই ডেটা কোডে পরিণত হয় এবং এর সমস্তটাই উইটনেস ট্রি-র টুইটার পেজে দেখানো হয়।

উদাহরণস্বরূপ, গাছটি অগস্ট মাসে অত্যধিক তাপের কারণে অসুস্থ ছিল। সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে উচ্চ তাপমাত্রা ছিল। গাছটি প্রায় 100 বছরের পুরনো এবং অনেক আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাক্ষী। 1938 সালে যখন গ্রেট নিউ ইংল্যান্ড হারিকেন আঘাত হানে, তখনও এই গাছটি এখানেই ছিল এবং বেঁচেও থাকতে পেরেছিল। হার্টের মতে, পাশের গাছগুলো পড়ে যাওয়ার পর গাছটি একটু বেড়েছে।

এই ধরনের অভিনব পদ্ধতিগুলি শুধুমাত্র দ্রুত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর দিকেই মনোযোগ আনতে পারে তা নয়। বরং এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকা গাছগুলিকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরে। হার্ট বিশ্বাস করেন, “সেন্সরগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে এই গাছের থেকে আমরা বাস্তব সময়ে অনেক কিছু শিখতে পারি।”