আজ মাতৃ নবমী, জেনে নিন এই দিনের বিশেষত্ব

আজ মাতৃ নবমী, জেনে নিন এই দিনের বিশেষত্ব
হিন্দুদের মধ্যে পিতৃপক্ষের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই পাক্ষিকের পিছনে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে, এই সময়ে আমাদের মৃত পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে আসেন এবং আশীর্বাদ করেন। এবার ১২ বছর পর পিতৃপক্ষে ১৬ দিন থাকলেও ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রাদ্ধ তিথি নেই। পিতৃপক্ষে মাতৃ নবমীর বিশেষ তাত্‍পর্য রয়েছে। যাদের মা, বোন বা স্ত্রী এই দিনে মারা গেছেন, তাদের এই দিনে শ্রাদ্ধ করতে হয়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বছর মাতৃ নবমী কখন এবং শ্রাদ্ধের শুভ সময় ও তারিখ কী-

পঞ্চাং অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি হবে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ০৪:৩২ টা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ০৭:০১ টা পর্যন্ত। এই দিনটিকে পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করার জন্য শ্রেষ্ঠ তিথি বলে মনে করা হয়, যা ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১:৫০থেকে দুপুর ১২:৩৯ পর্যন্ত হবে। এই সময়ে শ্রাদ্ধ করলে ভালো।

মাতৃ নবমীর দিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করা উচিত্‍। এরপর কুতুপ বেলায় পরিচ্ছন্ন বস্ত্র পরিধান করে নিয়মানুযায়ী পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ করতে হবে। এর জন্য সাদা চৌকি বা টেবিলে বিদেহী পূর্বপুরুষদের ছবি রাখতে হবে এবং তাদের ছবি না থাকলে সুপারি রাখতে হবে। সেই সুপারিটিতে ফুল, তুলসী ও গঙ্গাজল নিবেদন করুন।

তাঁর ছবির সামনে একটি তিল প্রদীপ এবং ধূপকাঠি জ্বালান। পূজার পর সম্ভব হলে গরুড় পুরাণের নবম অধ্যায়, গজেন্দ্র মোক্ষ বা ভগবদ্গীতা পাঠ করুন। এর পর শ্রাদ্ধের খাবার দক্ষিণ দিকে রাখতে হবে। এই দিনে ব্রাহ্মণকে অন্ন অর্পণ করুন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন। এই দিনে তামার পাত্রে জল ও কালো তিল মিশিয়ে পিতৃপুরুষদের তর্পণ দিতে ভুলবেন না।

মাতৃ নবমী, যা হিন্দুধর্মে পিতৃপক্ষে পড়ে, এর বিশেষ তাত্‍পর্য রয়েছে, কারণ এই দিনে পরিবারের মৃত মহিলাদের জন্য শ্রাদ্ধ করা হয়; যারা বিবাহিত রূপে মারা গেছেন। এই দিনে ঠাকুরমা, মা, বোন, মেয়েদের জন্য বিশেষ শ্রাদ্ধ করা হয়, যাকে অবিদ্যা শ্রাদ্ধও বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে পরিবারের মহিলারা নিয়ম অনুসারে শ্রাদ্ধ করলে মোক্ষ পান। এতে পিতা সন্তুষ্ট হন এবং আশীর্বাদ করেন।