রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা তৃণমূলের, নতুন মুখ সাকেত-শমিরুল-প্রকাশ

রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা তৃণমূলের, নতুন মুখ সাকেত-শমিরুল-প্রকাশ

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া মিটতেই আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে (Rajya sabha election) দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুখেন্দু শেখর রায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন। তাঁরা পুনরায় মনোনয়ন পেলেন। তাঁরা পুনরায় মনোনয়ন পেলেন।

নতুন মুখ হিসাবে এলেন, সামিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বারিক, সাকেত গোখেল।

রাজ্যসভায় বাংলা থেকে ৭টি আসন শূন্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ৬ জুলাই। ১৩ জুলাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সম্ভবত ১১ তারিখ মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন পেশ করবেন। সেই কারণে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী রবিবার বিধানসভায় কিছু দলীয় বিধায়ককে ডেকে তাঁদের দিয়ে ফর্মে সই সাবুদ করিয়ে রেখেছেন। তাঁরা হবেন প্রস্তাবক।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহেই রাজ্যসভায় বাংলার ৭ আসনে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এই সাত আসনের মধ্যে ৬টিই তৃণমূলের দখলে। সেই ছয় আসনে কারা প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে মাস খানেক ধরেই জল্পনা চলছিল। সোমবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হল।

অগাস্ট মাসেই খালি হচ্ছে বাংলার ৬টি রাজ্যসভার আসন। তারমধ্যে ৫টিই আছে তৃণমূলের দখলে আর একটি কংগ্রেসের। এছাড়াও লুইজিনহো ফেলেইরো তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই রাজ্যসভায় তাঁর আসনও ফাঁকা। এই ৭ আসনের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৫ সাংসদ দোলা সেন, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুস্মিতা দেব বর্মণ, শান্তা ছেত্রী ও সুখেন্দুশেখর রায়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তৃণমূল দোলা, ডেরেক ও সুখেন্দু শেখরকে পুনরায় মনোনয়ন করে। তবে শান্তা ছেত্রী ও সুস্মিতা দেবের জায়গায় নতুন মুখ আনল বাংলার শাসক দল।

এবার তৃণমূল মোট তিনজন নতুন মুখকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে প্রকাশ চিক বারিক হলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এছাড়াও সর্বভারতীয় অন্যতম মুখপাত্র সাকেত গোয়েলকেও রাজ্যসভার টিকিট দিল তৃণমূল। আর একজন হলেন সামিরুল ইসলাম।

বাংলা থেকে আরও রাজ্যসভা সাংসদের পদ খালি হচ্ছে অগস্ট মাসেই। কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যের আসনও ফাঁকা হচ্ছে। এবার সেই আসন হারাচ্ছে কংগ্রেস। সেই আসন এবার দখল করবে বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। যদিও বাংলা থেকে রাজ্যসভায় কাকে পাঠাবে, তা এখনও ঠিক করেনি গেরুয়া শিবির।