ওজন কমাবে হলুদ
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলুদ অত্যন্ত সমাদৃত। এই মশলাটি প্রাচীনকাল থেকেই তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক তত্ত্বেও প্রদাহ প্রতিরোধের জন্য এটি জনপ্রিয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে হলুদ। হলুদের উজ্জ্বল হলুদ রঙের জন্য দায়ী উপাদানের নাম কারকিউমিন।
ওজন কমাতে হলুদ
বেশ কিছু প্রাণীর ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন দেহের ওজন সীমিত রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও বাড়ায়। শরীর যখন ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীল হয়, তখন শারীরিক কার্জক্রমের জন্য শক্তির উত্স হিসাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করে। এতে পরবর্তিতে ব্যবহারের জন্য আমাদের পেশী এবং লিভারে গ্লাইকোজেন হিসাবে গ্লুকোজ সঞ্চিত হয়।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমায়
কারকিউমিন ও স্থূলতা' সম্পর্কে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী পলিফেনল শরীরের চর্বিযুক্ত টিস্যুতে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ দমন করে। এই সমস্যাগুলি সাধারণত অতিরিক্ত ওজনের লোকের মধ্যে পাওয়া যায়।
প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খেতে হবে?
ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন কতটুকু হলুদ গ্রহণ করতে হবে তার নির্দিষ্ট হিসাব নেই। এফএও এবং ডাব্লিউএইচও-এর যৌথ প্রতিবেদন বলে, প্রতিদিন ১.৪ মিলিগ্রাম কারকিউমিন গ্রহণ করা নিরাপদ। তবে এই উপাদানটি আপনার দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।ওজন কমাতে আগ্রহী হলে দুধের সাথে মিশিয়ে হলুদ খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে চিনি বা মধুর মতো মিষ্টি উপাদান এড়িয়ে চলতে হবে। আর পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুধের পরিবর্তে স্কিম মিল্ক খেতে পারেন। ক্যালরির পরিমাণ কমাতে দুধের সাথে জলও মেশাতে পারেন।