অবিশ্বাস্য সস্তা ব্যাপক হারে দাম কমছে ল্যাপটপের জানুন কেন

অবিশ্বাস্য সস্তা ব্যাপক হারে দাম কমছে ল্যাপটপের জানুন কেন

পক হারে দাম কমবে ল্যাপটপের। ধরুন, বর্তমানে যে ল্যাপটপের দাম ১ লক্ষ টাকা, সেটাই ভবিষ্যতে মিলবে মাত্র ৪০ হাজার টাকায়। কী ভাবে?

ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উত্‍পাদন করছেন বেদান্ত-ফক্সকন

বিশ্বজুড়ে চিপের ঘাটতি।

সরবরাহ শৃঙ্খলে বড়ো ব্যাঘাত। দুইয়ে মিলে ভারতে লঞ্চ করা একটা ল্যাপটপের গড় দাম ছাড়িয়েছে ৬০ হাজার টাকা। তাই বলে চাহিদাকে প্রভাবিত করেনি এই ঘটনা। কারণ, ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের বাজারে পৌঁছেছে রেকর্ড সংখ্যক ল্যাপটপ। পরিস্থিতি নজরে রেখেই এখন গুজরাতে দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর উত্‍পাদন ইউনিটের হাত ধরেই ভারতের প্রযুক্তিগত ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করতে প্রস্তুত বেদান্ত-ফক্সকন (Vedanta-Foxconn)।

ওই ইউনিটের সৌজন্যেই ল্যাপটপ সস্তা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউনিটে উত্‍পাদন পুরোমাত্রায় শুরু হয়ে গেলে বর্তমানের এক লক্ষ টাকার ল্যাপটপের দামই ৪০ হাজার টাকায় নেমে আসবে। ১.৫৪ লক্ষ কোটি টাকায় গড়ে ওঠা ওই প্রকল্পে তৈরি সেমিকন্ডাক্টর এবং কাচের জন্যই অনেকটা সস্তা হয়ে যাবে ল্যাপটপ।

তাইওয়ান এবং কোরিয়ায় সরঞ্জাম এ বার তৈরি হবে ভারতে

সিএনবিসি টিভি ১৮-এর কাছে একটি সাক্ষাত্‍কারে বেদান্তের চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল বলেন, তাইওয়ান এবং কোরিয়াতে তৈরি সরঞ্জামগুলি এ বার ভারতে তৈরি হবে। সংস্থা একটি যৌথ উদ্যোগ গড়েছে। যাতে ৩৮ শতাংশ শেয়ার থাকবে তাইওয়ানের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স সংস্থা ফক্সকনের।

সংস্থা জানিয়েছে, আগামী দু'বছর পর থেকেই পুরোমাত্রায় সেমিকন্ডাক্টর উত্‍পাদন শুরু হয়ে যাবে। প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি মার্কিন ডলারের টার্নওভারের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। যার মধ্যে রফতানি খাতে যাবে ১০০ কোটি ডলার।

এখন ১০০ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টর আমদানি করে ভারত

বলে রাখা ভালো, ভারত নিজের প্রয়োজনের ১০০ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টর আমদানি করে। ২০২০ সালে প্রায় ১৫০০ কোটি ডলারের ইলেকট্রনিক্স আমদানি করেছিল ভারত। এৰ ৩৭ শতাংশই এসেছে চিন থেকে। এসবিআই (SBI)-এর একটি রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ভারত যদি চিন থেকে আমদানি উপর নির্ভরতা ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে, তা হলে আমাদের জিডিপি (GDP)-তে ৮০০ কোটি ডলার যোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বেদান্তের মতো ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির উদ্যোগগুলিকেও ৭৬ হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সমর্থন দেওয়া হয়েছে। যাতে খরচের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লাঘব হবে সুবিধাভোগী সংস্থাগুলির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজস্ব মাইক্রোচিপ উত্‍পাদনের ক্ষমতা ভারতকে ভবিষ্যতের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সক্ষম করবে, যেখানে প্রযুক্তির আধিপত্যই শেষ কথা।